আবার রিমান্ডে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের খবরে এবার মাথায় হাত পরেছে নারায়ণগঞ্জে কয়েকজন চাঁদাবাজদের । শাসক দলের কয়েকজন নেতা, একজন প্রভাবশালী এমপি, একজন ঠিকাদারের সাথে একজন রাজাকার পুত্রের বিশাল অর্থনৈতিক লেনদেনের সকল তথ্যই হাতে রয়েছে রাষ্ট্রিয় সকল গোয়েন্দা সংস্থার কাছে। এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য যাচাই বাছাই করতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আবারো রিমান্ডে আনা হয়েছে জিকে শামীমকে । বিগত সময়ে জিকে শামীম নিজের পরিবারকে রক্ষা করার শর্ত দিয়ে সকল অপরাধের তথ্য প্রকাশ করেছিলো । যার কারণে জিকে শামীমের পরিবারের কাউকেই আর টানা হেচরা করে নাই আইনশৃংখলা বাহিনী
নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
কয়েকটি মামলায় একের পর এক রিমান্পে এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর এবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় জি কে শামীমের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত ।
ফলে এবার আতংকের মধ্যে রয়েছে নারায়ণগঞ্জের কয়েকজন শাসক দলের নেতা, ঠিকাদার, ও জিকে শামীমের কাছ থেকে নানাভাবে ফায়দা হাসিলকারী চক্র। এর মধ্যে একজন রাজাকার পুত্রের নামও উৃঠে এসেছে বলে গুঞ্জন রয়েছে ।
দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার (২৭ অক্টোবর) শুনানি নিয়ে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত এই আদেশ দেন ।
শামীমকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়েছিল। আদালত ৭ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন আদালতকে বলেন, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জি কে শামীমের ২৯৭ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য জানা গেছে। অসংগতিপূর্ণ এই সম্পদের উৎস জানার জন্য শামীমকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।
শামীমের আইনজীবীরা আদালতের কাছে দাবি করেন, শামীম কোনো অসংগতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করেননি। যে টাকা তিনি আয় করেছেন, তা তাঁর আয়কর বিবরণীতে উল্লেখ আছে। শামীম হাজার হাজার কোটি টাকার সরকারি প্রকল্পের কাজ করেন।
আদালত উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে শামীমকে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন।
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ থাকার অভিযোগে শামীম বিরুদ্ধে গত ২১ অক্টোবর মামলা করে দুদক। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ মামলা টি করা হয়।
শামীমের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক মো. সালাউদ্দিন। মামলায় শামীমের বিরুদ্ধে ২৯৭ কোটি ৯ লাখ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দূদকের একটি নির্ভর যোগ্য সূত্র জানায়, নারায়ণগঞ্জ পিডব্লিউ ডি এর প্রায় ৮০০ কোটি টাাকর কাজ হাতিয়ে নিতে নারায়ণগঞ্জের একজন প্রভাবশালী নেতাকে ১০% হারে চাঁদা দিতে হয়েছে । আর এই চাঁদার পুরোটাই লেনদেন করেছেন জিকে শামীম । সবশেষ জিকে শামীম সোনারগাঁ জাদুঘরের ১১৩ কোটি টাাকর কাজটি পেতে ওই নেতা ও একজন ঠিকাদারকে সাথে নিয়ে গোপন বৈঠক করেন । এই বৈঠকের চিত্র গোপনে ধারণ করে রাখেন জিকে শামীম নিজেই । একই সাথে গোপন ক্যামেরার মাধ্যমে পিডব্লিউডির সকল টেন্ডারের ১০% চাঁদা নেয়ার সকল প্রমান হাতে রাখে জিকে শামীম । সবচাইতে বেশী সরকারী এমন কাজের চাঁদাবাজিতে সকল ধরণের সহায়তা করেন নারায়ণগঞ্জে বিগত দিনে নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী মাহবুবুর রহমান। বর্তনানে ঢাকা ৪ ডিভিশনের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। মাহবুবুর রহমানের হাত দিয়ে চাদাবাজি ও ঘুষের প্রায় শত কোটি টাকা লেনদেন করেছেন বলেও প্রমাণ রয়েছে আইনশৃংখলা বাহিনীর হাতে।
দূদকের এই সূত্রটি আরো জানায়, নাারয়ণগঞ্জের একজন ঠিকাদারী প্রতিষ্টান কোহিনুর এন্টারপ্রইজের নামেই ৫টি একাউন্ট রয়েছে বিভিন্ন ব্যাংকে । মেঘনা ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, ট্রাষ্ট ব্যাংক ও এনসিসি ব্যাংকের একাউন্ট থেকে জিকে শামীমের সাথে বিশাল লেনদেন হতো । এ ছাড়াও মেঘনা ব্যাংকে জিকে শামীমের টাকায় ওই ঠিকাদারের স্ত্রীর নামে বিশাল টাজার এফডিআর রয়েছে । জিকে শামীমের সাথে নারায়ণগঞ্জ পিডব্লিউডি এর নিয়ন্ত্রণকারী এই ঠিকাদার প্রভাবশালী এক নেতার নামে কোটি কোটি কোটি টাকা চাঁদাবাজি করতো । যার সাথে ওই নেতার ছবি ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সর্বত্র ।
দীর্ঘ আলোচনার এক পর্যায়ে সূত্রটি আরো জানায়, নারায়ণগঞ্জের এই চক্রটি জিকে শামীমের রিমান্ডের খবর নিতে ব্যাপক তৎপর হয়ে উঠে । রিমান্ড মঞ্জুরের খবরে চক্রটি রয়েছে আতংকে ।
( নারায়ণগঞ্জের চাঁদাবাজ চক্রটির বিরুদ্ধে এমন তথ্যের রেকর্ড সংরক্ষনে রয়েছে )
Discussion about this post