নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
দেশে আবারও বড় ধরনের চক্রান্ত হচ্ছে বলে জানিয়ে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেন, ‘গত তিনদিন আগেও আমি ডিসি ও এসপি সাহেব সহ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাছে বার্তা পাঠিয়েছিলাম চক্রান্ত হচ্ছে। পরাজিত শক্তি আবারো কিছু ঘটানোর পায়তারা করছেন। আমার বার্তা পাঠানোর তিনদিন পর প্রধানমন্ত্রী সংসদে বক্তব্য রেখেছেন। প্রশাসনও এখন খুব এলার্ট । ’বার বার স্বাধীনতা পক্ষের শক্তির উপর আঘান আনা হচ্ছে। এখন তাঁর নেতৃত্বে দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখনই সেটাকে বাধাগ্রস্ত করতে চেষ্টা করা হচ্ছে। সে কারণেই এবার চক্রান্ত হচ্ছে ।
২৭ এপ্রিল শনিবার বিকেলে ক্লাব প্রাঙ্গনে ওই পুরস্কার বিতরণীতে রাইফেল ক্লাবের সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে শামীম ওসমান এমন বক্তব্য প্রদান করেন । বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁও) আসনের এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা, নারায়ণগঞ্জ রাইফেলস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক খালেদ হায়দার খান কাজল, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, ছাত্রলীগ নেতা এহসানুল হক নিপুসহ অনকে নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে।
অনুষ্টানে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ তার বক্তব্যে বলেন, এলাকার সম্মানীত সংসদ সদস্য শামীম ওসমান এই এলাকার কৃতি সন্তান । আমার অত্যন্ত প্রিয় নেতা । আমরা যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তাম তখন যাকে আমরা খুব হিরো হিসেবে জানতাম সে আজকের প্রধান অতিথি জনাব শামীম ওসমান ।
এসপি হারুন আরো বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তিরা একাত্তরকে ভুলে যেতে পারে নাই বলেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী, গোলাম আজমকে নাগরিকত্ব দিয়ে তারা আবার স্বাধীনতা বিরোধী চক্রান্তকারীদের গাড়িতে পতাকা দিয়ে এদেশের স্বাধীনতাকে ভুলন্ঠিত করতে চেয়েছিলো। তারা ভেবেছিলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি আর কথা বলার সুযোগ পাবেনা। আজকে জাতির জনকের কন্যার নেতৃত্বে স্বাধীনতা বিরোধীদের বিচার শেষ হয়েছে, ওই গোলাম আজমদের বিচার হয়েছে, জামাত শিবিরের বিচার শুরু হয়েছে আবার নতুন কায়দায় চক্রান্ত শুরু হয়েছে।
এসপি হারুন আরো বলেন, নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় বোমা হামলা, যশোরে বোমা হামলা, রমনায় বোমা হামলা, ময়মনসিংহে সিনামাহলে বোমা হামলা করে শত শত লোককে হত্যা করেছে, অনেককে পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয়েছে। কারণ যখনই দেখেছে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি দ্বারা বিজয় রচিত হয়েছে, দেশ যখন উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে তখনই ওই জামাত-শিবির চক্র বিভিন্ন কায়দায় জঙ্গিবাদ করে বোমা হামলা করে মানুষকে হত্যা করে। তারা আসলে ইসলাম নয় তারা ইসলামের শত্রু। আবার তারা বিভিন্ন জায়গায় সারা বাংলাদেশে একত্রিত হওয়ার চেষ্টা করছে।
পুলিশ সুপার আরো বলেন, একজন পুলিশ হিসেবে আমি আপনাদের সকল ভালো কাজের সাথে আছি। আপনারা যখন আমাকে ডাকবেন আমি সেখানেই যাবো। নারায়ণগঞ্জের সকল নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে একটি সুন্দর নারায়ণগঞ্জ উপহার দিবো। নারায়ণগঞ্জকে অবশ্যই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে আমরা সব সময়ই আছি। মাদক, সস্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আমাদের সবসময় আহবান করবেন।
মাদক ব্যবসায়ী, মাদকাসক্তদের আপনাদের চিহ্নিত করতে হবে। তাহলেই যে নারায়ণগঞ্জ ছিলো প্রাচ্যের ড্যান্ডি, মুক্তিযুদ্ধের সূতিকাগার, যে নারায়ণগঞ্জ ছিলো বিদেশীদের স্বপ্নের জায়গা সেই নারায়ণগঞ্জ তার পূর্বের জায়গায় ফিরে যাবে। এই নারায়ণগঞ্জ হবে দেশের সকল মানুষের কর্মস্থল। এখানে আরো শিল্প কারখান গড়ে উঠবে। কোন চাঁদাবাজির কারণে, সন্ত্রাসীর কারণে কোন গার্মেন্টস শিল্পকে যাতে বন্ধ করতে না পারে সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।
Discussion about this post