নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
শামীম ওসমান কট্টর আওয়ামীলীগ নেতা। যে বাড়ীতে শামীম ওসমানের জন্ম সেই বাড়ী বায়তুল আমান জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছিলো রাজনৈতিক প্রধান ঘাটি । বঙ্গবন্দুর অনেক স্মৃতি বিজরিত ওসমান পরিবার আওয়ামীলীগের জন্য নানা ত্যাগ স্বীকার করে এখনো দাড়িয়ে আছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। সেই ওসমান পরিবারের প্রতিটি অনুষ্টানে বিএনপির নেতা ও নাসিক কাউন্সিলর হান্নান সরকার ও সুলতান আহমেদ ভূইয়ার উপস্থিতি কোন ভাবেই মেনে না নিতে পেরে অনেকেই সমালোচনা করেছেন। অনেকেই বলেন, আওয়ামীলীগের জরুরী কর্মী সমাবেশে বিএনপির নেতাদের সবর উপস্থিতি । বাহ ! খুব বালো লাগছে !
শনিবার (৬ এপ্রিল) বেলা ৩টায় ইসদাইরে অবস্থিত বাংলা ভবন কমিউমিটি সেন্টারে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের ব্যানারে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী পরিবারকে ধ্বংসের চক্রান্তের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াও।’ জরুরী কর্মীসভায় হাজির হয় মহানগর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ও নাসিক ২১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হান্নান সরকার এবং বিএনপি নেতা ও নাসিক ২২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুলতান আহমেদ ভূইয়া।
জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের ব্যানারে অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ একেএম শামীম ওসমানের এক জরুরী কর্মীসভায় বিএনপির দুই নেতাকে দেখেই অনেকেই সমালোচনা করে বলেন, এরা কট্টর বিএনপির সমর্থক ও নেতা । কি কারণে হান্নান সরকার ও সুলতান শামীম ওসমান ছাড়াও সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের অনুষ্ঠানে হাজির হয় ? তবে কি এরা ক্ষমতার পাশাপাশি থেকে নানা অপকর্ম করতেই এমন সরব উপস্থিতি দেখা যায় ?
এর আগে গত ২ মার্চ শহরের দুই নম্বর রেল গেইটের সামনে আয়োজিত শামীম ওসমানের এক জনসভাও নেতাকর্মীদের মিছিল নিয়ে কাউন্সিলর সুলতান আহমেদ ভূইয়াকে উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে। ২০১৮ সালের ২৬ জুন নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুরে জাতীয় পাটির সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের সংবর্ধনায় নিজস্ব বাহিনী নিয়ে মিছিল করে বক্তব্য প্রদান করে হান্নান সরকার। এ ছাড়া গত সাংসদ নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীর কোন প্রচারণায় এদের দেখা না গেলেও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের জাতীয় পার্টির সাংসদ একেএম সেলিম ওসমানের প্রচারণায় দেখা যায়। তার পক্ষে ভোট প্রার্থনাও করেন তারা ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মহানগর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক হান্নান সরকার নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেটকে বলেন, আমি কর্মীসভায় যাই নাই । আপনাদের কাছে ছবি আছে ? এমন প্রশ্নের পর হান্নান সরকার স্বীকার করে বলেন, হ্যা আমি গিয়েছিলাম, তবে অন্য কাজে । আওয়ামীলীগের কর্মী সভাস্থলে কি যাওয়া যায় না । এর আগে আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পাটির অনুষ্ঠানেও গিয়েছি বক্তব্যও দিয়েছি বলে স্বীকার করেন হান্নান সরকার ।
এ দিকে এ বিষয়ে জানতে অনেকেই সুলতান আহমেদ ভূইয়ার মুঠোফোনের নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কলটি রিসিভ করেননি।
Discussion about this post