বিএনপির প্রভাবশালী নেতা মির্জা আব্বাসের খুবই ঘনিষ্ঠতায় কুখ্যাত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী হিসেবে বেড়ে উঠা নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার সন্মানদী ইউনিয়নের দক্ষিণপাড়া এলাকার আফসার উদ্দিনের পুত্র জিকে শামীম এলাকা ছেড়ে বসতী হিসেবে রাজধানীর সবুজবাগ, বাসাবো, মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকার বেছে নিয়ে শুরু করে সরকারি টেন্ডার কাজ নিয়ন্ত্রণ।
গণপূর্ত ভবনের বেশির ভাগ ঠিকাদারি কাজ ছিলো তার নিয়ন্ত্রণে । পরিচয় দিতেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি । একই সাথে যুবলীগের সমবায় সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দিয়ে চষে বেড়াতেন সর্বত্র ।অথচ বিএনপি সরকারের শাসনামলে এই জিকে শামীম তিনি ঢাকা মহানগর যুবদলের সহ-সম্পাদক ছিলেন । এতো কিছুর পর নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী অপরাধী চক্রের নেতাদের সাথে নানা সখ্যতার কারণে কেউ টু-শব্দ করার সাহস করতো না। জিকে মামীমের মতো এমন অসংখ্য অপরাধী এখনো রয়েছে ওই প্রভাবশালী নেতাদের শেল্টারে।
সেই অপরাধী কথিত যুবলীগ নেতা এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে গুলশান থানার অর্থপাচার আইনের মামলায় রায় হবে আজ রোববার (২৫ জুন)।
এদিন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম রায় ঘোষণা করবেন।
১৫ জুন রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে একই আদালত রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন।
এদিকে আইন অনুযায়ী আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান। তিনি বলেন, আমরা রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ঘটনা প্রমাণে সব সাক্ষ্যপ্রমাণে উপস্থাপন করেছি। আশা করছি, আইন অনুযায়ী আসামিদের সর্বোচ্চ ১২ বছরের কারাদণ্ডই হবে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. মোরাদ হোসেন, মো. জাহিদুল ইসলাম, মো. শহীদুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন, মো. সামসাদ হোসেন ও মো. আনিছুল ইসলাম।
গত ২১ ডিসেম্বর মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। মামলায় চার্জশিটভুক্ত ২৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। এরপর চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি আসামিরা আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দেন।
এর আগে ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর দুপুরে নিকেতনের নিজ বাসা থেকে জিকে শামীমকে আটক করা হয়। এ সময় শামীমের কাছ থেকে প্রায় ২০০ কোটি টাকার এফডিআর চেকসহ বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি মুদ্রা জব্দ করা হয়। তার কাছ থেকে একটি অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনার পর র্যাব-১ এর নায়েব সুবেদার মিজানুর রহমান ২১ সেপ্টেম্বর গুলশান থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু সাঈদ তদন্ত শেষে, ২০২০ সালের ৪ আগস্ট আদালতে জিকে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীর নামে চার্জশিট দাখিল করেন।
২০২০ সালের ১০ নভেম্বর আসামিদের নামে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
প্রসঙ্গত, জি কে শামীম ও তার ৭ দেহরক্ষীকে ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর অস্ত্র আইনের মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলাম।
এরপর আজ (২৫ জুন) দ্বিতীয় কোনো মামলায় তাদের বিচার শেষ হতে যাচ্ছে।
Discussion about this post