নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
নারায়ণগঞ্জের সর্বত্র পালিয়ে যাওয়া আসামী দুখু মিয়াকে হন্যে হয়ে খুজে বেড়াচ্ছে পুলিশ । গত দুই দিন নারায়ণগঞ্জের সম্ভাব্য আসামী দুখু মিয়ার স্বজনদের বাড়ী তন্যতন্য করে খুজে বেড়ানোর পরও ধরতে পারে নাই পুলিশ ।
জানা যায়, বাথরুমের গ্রিল ভেঙ্গে হ্যান্ডকাপসহ পালিয়ে গেছেন শিশু অপহরণ মামলার আসামী দুখু মিয়া। ২৬ মার্চ মঙ্গলবার দুপুরে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে বরিশাল পুলিশ লাইনের এসআই মো. আমিনুল ইসলাম ও কনস্টেবল মো. রিয়াজুলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সোমবার ২৫ মার্চ বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নাক-কান-গলা বিভাগের চারতলার বাথরুমের গ্রিল ভেঙে হ্যান্ডকাপসহ পালিয়ে যান তিনি।
কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ওসি মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ১ মাস আগে ফতুল্লা এলাকা থেকে এক শিশুকে অপহরণ করে পরিবারের কাছে প্রথমে ১৫ লাখ মুক্তিপণ দাবি করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় ফতুল্লা থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় গত ৪ মার্চ বরিশাল নগরীর পলাশপুর ৮ নম্বর বস্তি থেকে দুখু মিয়াকে গ্রেফতার করে পিবিআই। এ সময় গ্রেফতার এড়াতে দুখু মিয়া গলা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। ওই সময় তার গলা কেটে যায়। আহত অবস্থায় ওই দিনই তাকে শের-ই-বাংলা মেডিকেলের নাক-কান-গলা বিভাগে ভর্তি করা হয়। সেই থেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন দুখু মিয়া।
পরে সোমবার রাত ২টার দিকে দুখু মিয়া হ্যান্ডকাপ পরিহিত অবস্থায় বাথরুমে গিয়ে আর ফিরে আসেননি। পরবর্তীতে দুখু মিয়াকে আর বাথরুমের ভেতরে পাওয়া যায়নি। বাথরুমের গ্রিল ভেঙে চারতলা থেকে পাইপ বেয়ে নিচে নেমে পালিয়ে যায় দুখু মিয়া। এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে পুলিশ লাইনের এসআই মো. আমিনুল ইসলাম ও কনস্টেবল মো. রিয়াজুলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ওসি মো. নুরুল ইসলাম বলেন, দুখু মিয়ার পালিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে সকালে পুলিশের ঊর্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করে একজন কর্মকর্তা বলেন, দুখু মিয়াকে ধরতে পুলিশের পক্ষ থেকে সাড়াসী অভিযান চলছে ।
Discussion about this post