রূপগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে পাথর বোঝাই জাহাজের ধাক্কায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ স্কুলছাত্রী ওশানা আক্তারের (১২) মরদেহ ৩৩ ঘণ্টায়ও উদ্ধার করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) রাত ১০টা পর্যন্ত তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে এ ঘটনায় করা মামলায় জাহাজের চালকসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা হলেন শফিকুল ইসলাম, সারাফাত হোসেন সোহাগ, সোহান লস্কর ও মিরাজ মৃধা।
নিখোঁজ ওশানা আক্তার উপজেলার পোরাবো এলাকার আবু সাইদের মেয়ে। সে স্থানীয় শেখ রাসেল ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
বুধবার (২৬ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটার দিকে বেড়াতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে পরিবারের সঙ্গে বাড়ি থেকে রওয়ানা হয় ওশানা আক্তার। শীতলক্ষ্যা নদীর বানিয়াদী খেয়াঘাটে নৌকা পারাপারের সময় নদীর মাঝপথে এমভি ওমর সাদিয়া নামের একটি পাথরবোঝাই জাহাজ তাদের নৌকায় ধাক্কা দিলে নৌকাটি ডুবে যায়। এসময় নৌকার মাঝিসহ ১০ জনের মধ্যে ৯ জনকে অন্য নৌকার মাঝিরা উদ্ধার করলেও ওশানাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নৌকার ৯ যাত্রী তীরে উঠতে পারলেও বোরকা পরিহিত ওশানা তীরে উঠতে পারেনি।
এ ঘটনায় নিখোঁজ ওশানার বাবা আবু সাইদ বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় চারজনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। জাহাজটি জব্দ করা হয়েছে।
ইছাপুরা নৌ পুলিশের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহবুব জানান, ঘটনার পর থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল দিনরাত উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত মেয়েটির সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় রূপগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আতাউর রহমান নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট কে বলেন, এ ঘটনায় করা মামলায় জাহাজের চালক ও সুকানিসহ চারজনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।আর বাচ্চা উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম এবং নৌ পুলিশ একসাথে কাজ করছে ।
Discussion about this post