“যিনি একটি শিশু হত্যার বিচার বন্ধ করে রাখেন তিনি কী ভাবে মানবতার জননী হন। ত্বকীর ঘাতক জেনেও প্রশাসন দুর্বৃত্তদের আইনের আওতায় না এনে সুরক্ষা দিয়েছে। ক্ষমতা আপনাদের কত দিন তা আপনারা ভালো করেই জানেন, যাবার আগে অন্তত ভালো একটা কাজের নজির রেখে যান।”
এভাবেই প্রধানমন্ত্রীর বিরদ্ধে সমালোচনা করেন নিহত ত্বকীর বাবা সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বি।
তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যা ও বিচারহীনতার ১১৭ মাস উপলক্ষে ৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় আলী আহাম্মদ চুনকা নগর মিলনায়তন প্রাঙ্গণে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের আলোক প্রজ্জ্বলন কর্মসূচির অনুষ্ঠানে বক্তব্যে এমন ,মন্তভ্য করেন তিনি।
রফিউর রাব্বি বলেন, সরকার বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে, জনগণের মৌলিক অধিকারকে ভূলুন্ঠিত করেছে, রাষ্ট্রীয় সকল প্রতিষ্ঠানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে প্রতিনিয়ত সংবিধানকে লঙ্ঘন করে চলেছে। মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকারকে হরণ করেছে। ত্বকীর ঘাতকদের দেশে ও দেশের বাইরে সবাই চেনেন। অথচ হত্যার দশ বছর হতে চলল, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়ে এ বিচারটি বন্ধ করে রেখেছেন। তৈরী হয়ে থাকা অভিযোগপত্রটি আদালতে পেশ করা হলো না। প্রধানমন্ত্রী নির্লজ্জভাবে ত্বকীর ঘাতকদের পক্ষ নিয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সহ সভাপতি ধীমান সাহা জুয়েলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শাহীন মাহমুদের সঞ্চালনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নিহত ত্বকীর বাবা সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বি, খেলাঘর কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি রথীন চক্রবর্তী, সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি এড. জিয়াউল ইসলাম কাজল, সিপিবি জেলা সাধারণ সম্পাদক শিবনাথ চক্রবর্তী, ন্যাপের জেলা সাধারণ সম্পাদক এড. আওলাদ হোসেন, বাসদের জেলা সংগঠক এস.এম কাদির, গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক তরিকুল সুজন, সামাজিক সংগঠন সমমনার সাবেক সভাপতি দুলাল সাহা প্রমূখ।
Discussion about this post