এনএনইউ রিপোর্ট :
বৃহস্পতিবার ৭মার্চ ভাষা সৈনিক ও রত্নগর্ভা মা নাগিনা জোহার তৃতীয় মৃত্যু বার্ষিকী। তাঁর মৃত্যু বার্ষিকীতে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় বন্দর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের বাগদোবাড়িয়া এলাকায় নাগিনা জোহা উচ্চ বিদ্যালয়ের নাগিনা জোহার আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদের আয়োজন করা হয়েছে।
উক্ত দোয়ায় অংশ নিয়ে মরহুমার আত্মার মাগফেরাত কামনা করতে সকলের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য গত ২০১৬ সালের ১ মার্চ বাধ্যক জনিত কারনে অসুস্থ্য হয়ে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ভাষা সৈনিক নাগিনা জোহা। ৬ মার্চ থেকে তিনি লাইফ সার্পোটের থাকার পর ৭মার্চ দুপুর ১টা ১০ মিনিটে ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রসঙ্গত, মরহুম এ.কে.এম সামসুজ্জোহার সহধর্মিনী নাগিনা জোহা একজন রতœগর্ভা মা। তিনি ১৯৩৫ সালে অবিভক্ত বাংলার বর্ধমান জেলার কাশেম নগরের জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাদের পরিবারের পূর্বপুরুষদের নামানুসারেই গ্রামটির নাম কাশেম নগর রাখা হয়। তার বাবা আবুল হাসনাত ছিলেন সমাজ হিতৈষী ও কাশেম নগরের জমিদার। শিল্প-সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষকতায় তার বিশেষ সুনাম ছিল। মরহুম নাগিনা জোহার বড় চাচা আবুল কাশেমের ছেলে আবুল হাশিম ছিলেন অবিভক্ত ভারতবর্ষের মুসলীম লীগের সেক্রেটারি ও এম.এল.এ। চাচাতো ভাই মাহবুব জাহেদী ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পরিষদের সদস্য ছিলেন। ভাগ্নে পশ্চিমবঙ্গের কমিউনিস্ট নেতা সৈয়দ মনসুর হাবিবুল্লাহ রাজ্যসভার স্পিকার ছিলেন। ১৯৫১ সালে এ কে এম সামসুজ্জোহার সাথে তার বিয়ে হয়। স্বামীর বাড়িতে এসেই ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে অংশ নেন।
মরহুম এ.কে.এম শামসুজ্জোহার সহধর্মিনী মরহুম নাগিনা জোহা ছিলেন ভাষা সৈনিক। তিনি রতœগর্ভা মা পুরস্কারে ভূষিত হয়ে ছিলেন। তাঁর ৩ ছেলের মধ্যে বড় ছেলে প্রয়াত নাসিম ওসমান ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন ৪বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য, মেঝ ছেলে সেলিম ওসমান একই আসনে দ্বিতীয় মেয়াদে সংসদ সদস্যের দায়িত্ব পালন করছেন এবং ছোট ছেলে শামীম ওসমান নারায়নগঞ্জ-৪ আসনে তৃতীয় মেয়াদে সংসদ সদস্যের দায়িত্ব পালন করে চলেছেন।
Discussion about this post