নারায়ণগঞ্জে গমের কেলেংকারী যেন কোন অবস্থাতেই থামছে না। অসংখ্য চরম দূর্ণীতি ও অপরাধের পর গম চোরচক্র যেন বীরদর্পে চষে বেড়চ্ছে সর্বত্র। তাদের দেখে যেন নগরীর সকলেই যেন হতবাক। কি করে মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে একজন কুঠার (গাছ কাটার শ্রমিক) যিনি গাছ কেটে জ্বালানি (লাড়কি) বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন সেই জসিম সকলের চোখের সামনেই হাজার কোটি টাকার মালিক। যার বিরুদ্ধে সবশেষ ৫শ কোটি টাকার গম কেলেংকারীর অভিযোগ উঠেছে।
সরকারী খাদ্য গুদামের সাথে জড়িত কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে গোপন আঁতাত করে রাতারাতি যেন অনকেই আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যান তাদের মধ্যে অন্যতম গম জমিস। বিশাল অর্থ বিত্তের মালিক বনে যাবার কারণে তাকে সকলে তোষামোদ করে জমিস সাব (সাহেব) বলে ডাকেন । আবার অনেকেই পিছন থেকে কুড়াইল্লা জসিম বলেন। নিন্দুকেরা ডাকেন গম চোর জসিম নামে। এই গম চোর জসিম নামটি মুছে ফেলতে নানাভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এই জসমি উদ্দিন মৃধা।
প্রতিদিনের মতো ভোরে কয়েকজন তোষামোদকারীদের সাথে নিয়ে (চামচা) প্রাতঃভ্রমণ শেষ নাস্তা করতে শহর ঘুরে বেড়ান জসিম উদ্দিন মৃধা। এমন দৃশ্য দেখে নগরীর অনেকেই বলেছেন, ‘জসিম উদ্দিন যে এতো বড় রাঘববোয়াল তা তো কেউ অনুধাবন ই করতে পারেন না। নগরীর নিতাইগঞ্জে অনেক বড় বড় লুটেরা দীর্ঘদিন যাবৎ এই গম চুরির মহোৎসব চালিয়ে আসলেও কয়েক বছর যাবৎ ভিন্ন ভিন্ন নাম চাউর ছিলো এই গম সিন্ডিকেটের সাথে । এবার তো দেখা যাচ্ছে এই চোর চক্র আরো বড় রাঘব বোয়াল।”
নাম প্রকাশ না করার অনুরোধে নিতাইগঞ্জের একজন প্রবীন ব্যবসায়ী ক্ষোভ প্রকাশ করে মুঠোফোনে ১২ মিনিট ৪৭ সেকেন্ডের আলাপকালে প্রতিবেদককে জানান, “বিগত সময়ের অসংখ্য গম চুরির হোতা গম জসিম নাারয়ণগঞ্জের খাদ্য অধিদপ্তরের ঘুষখোর কর্মকর্তা, কর্মচারী পিয়ন দারোয়ান থেকে শুরু করে শীর্ষ কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে সরকারী সকল ধরণের গম নানাভাবে লুটপাটের মহোৎসব চালিয়ে আঙ্গুল ফুলে করাগাছ বনে গেছেন। নিতাইগঞ্জের এই চক্রর মূল হোতা জসিম হলে বর্তমানে আরো বড় রাঘববোয়ালরা খোদ মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্তাদের ম্যানেজ করেই গম চুরির লুটপাট চালাচ্ছে । আর বর্তমানে গম জসিমের বিরুদ্ধে ৫শ কোটি টাকার দূর্ণীতি তো সামান্য বিষয়। নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক সরকারী খাদ্য অধিদপ্তরের কার্যালয়ের একেকজন কর্মকর্তা কি করেন তার হিসেব করলেই বেড়িয়ে আসবে ভয়ংকর চিত্র। একেকজন কর্মকর্তা কর্মচারী যেন সত্যিকার অর্থেই আঙ্গুল ফুলে করাগাছ বনে গেছেন। গম জসিম ছাড়াও এই চক্রের সকলেই বীরদর্পে বলেন : (যা নিতাইগঞ্জে চাউর আছে ) সরকারী খাদ্য গুদাম থেকে গম কি করে নিয়ে আনা হয় তা তো আর সকলেই জানেন না। শুধু জানে প্রশাসনের কর্তারা । আর প্রশাসনের থানার ওসি, ডিবির ওসিসহ শীর্ষ কর্তাদের প্রতি মাসেই প্যাকেট পাঠিয়ে দেয়া হয়। তাইলে আর বাকী থাকে কারা ? রাজনীতিবিদদের অনেকেই ম্যানেজ করেই এই ব্যবসা চলছে । আর এগুলি নিয়ে সাংবাদিকরা লিখলেই আর কি হইবো ? লিখুক।”
ইতিমধ্যেই প্রবীন এই ব্যবসায়ীর দেয়া উল্লেখিত এমন তথ্যসহ নানা গম লুটপাটের নানা তথ্য অনুসন্ধ্যানে নেমেছে কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী।
Discussion about this post