উপজেলা নির্বাচন কে সামনে রেখে জমে উঠেছে আলোচনা সমালোচনা ও বিতর্ক । এক দিনের ব্যবধানে এবার সেই রাজাকার পুত্র মাকসুদ হোন নতুন করে আরেক সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন।
এবার তিনি বলেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান কি বলেছেন তা সকলেই শুনেছেন কিন্তু পর্দার আড়ালে কি আছে তা মাকসুদ হোসেন নিজেই জানেন বলে হ্যান্ডমাইক হাতে নিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন।
একাধিক এলাকায় এমন বক্তব্য দিয়ে ‘ রাজপথ ছাড়ি নাই, মাকসুদ তোমার ভয় নাই’ বলেও শ্লোগান দেয়।
মাকসুদ হোসেনের এমন বক্তব্যে অনেকেই বলেন, ‘ কি আছে পর্দার আড়ালে ? আর এই হুংকার দেয়ার নেপথ্যে কি আছে !
এমন ঘটনার পর সারাদিন বন্দর উপজেলায় ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে । একই সাথে বিগত সময়ের নারায়ণগঞ্জ সদর ও বন্দর উপজেলার নানা নির্বাচন নিয়েও চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ – আলোচনা।
সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের হুংকার ও রাজাকার পুত্র হিসেবে অবহিত করে শনিবারের বক্তৃতার পর রোববার (৩১ মার্চ) সকালে বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মাকসুদ হোসেন শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন।
সকালে মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আসন্ন বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মাকসুদ হোসেন গণমাধ্যম কর্মীদের মাধ্যমে এই ঘোষণা দেন।
বন্দর উপজেলাবাসীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আপনারা বিভ্রান্ত হবেন না। দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ভুলে যান। আমি আমার অবস্থান পরিস্কার করছি। আমি নির্বাচনের মাঠে আছি। আপনারা যদি চান তাহলে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের মাঠে থাকবো ইনশাআল্লাহ। আগামী ৮ মে আমাকে বিজয়ী করার জন্য সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করুন’।
এরপূর্বে শনিবার অত্র উপজেলার ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের মাঠে আয়োজিত এক সভায় নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর ও বন্দর) আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সেলিম ওসমান বন্দরে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার জন্য দুজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় বক্তব্য দেন। বক্তব্য প্রদানকালে বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ রশিদকে সমর্থন জানিয়ে বন্দর উপজেলা পরিষদের সাবেক দুই বারের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল ও অত্র উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেনকে নির্বাচনী মাঠ থেকে সরে যেতে বলেন এমপি সেলিম ওসমান।
Discussion about this post