সোনারগাঁয়ে মাইকে ‘ডাকাত’ ঘোষণা শুনে গণপিটুনি দিয়ে ৪ জনকে হত্যা এবং ১ জন কে আহতের ঘটনায় হতাহতদের পরিচিয় নিশ্চিত করেছে আইনশৃংখলা বাহিনী ।
রোববার (১৭ মার্চ) রাতে সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর ইউনিয়নের বাঘারি গ্রামে গণপিটুনীতে ৪ ডাকাত নিহত হয় এবং এক ডাকাত আহত হয়ে পঙ্গু হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পঞ্জা লড়ছে।
এদের মধ্যে নিহত দুজন এবং আহত একজনের বাড়ী আড়াইহাজারে বলে জানা গেছে।
এরা হলেন, নিহত আঃ রহিম (৪৮) উপজেলার কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের ঝাউকান্দী নিতাইটেক গ্রামের শামসুল হকের ছেলে, নবী হোসেন (৩৫) একই উপজেলার গোপালদী পৌরসভার জালাকান্দী গ্রামের মজিদের ছেলে এবং আহত মোহাম্মদ আলী (৩৮) একই গ্রামের নুরু মিয়ার ছেলে ।
এদের মধ্যে নিহত ০৩ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে, এদের মধ্যে সোনারগাঁ উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের মুছারচর গ্রামের আমান উল্লার ছেলে জাকির (৪০), আড়াইহাজার উপজেলার জাঙ্গালিয়া গ্রামের সামসুল হকের ছেলে আব্দুর রহিম (৪৮) এবং জালাকান্দি গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে নবী হোসেন (৩৫)।
অন্যদিকে মুমূর্ষূ অবস্থায় পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জাঙ্গালিয়া গ্রামের নুরু মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ আলী (৪৫)। খবর পেয়ে ছুটে আসেন, নারায়নগঞ্জ জেলা সিআইডি বিশেষ শাখা পুলিশের পুলিশ সুপার মো. হুমায়ন কবির। তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং নিহত বাকী ১ জনের নাম ঠিকানা সনাক্তকরণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
আড়াইহাজার থানার ওসি মোহাম্মদ আহসানউল্লাহ এ ঘটনায় আড়াইহাজারের হতাহত ডাকাতদের পরিচয় নিশ্চিৎ করে বলেন, আড়াইহাজার উপজেলার প্রায় সর্বত্র লোকজন নিজ উদ্যোগে পাহারা দেয়ার মাধ্যমে পুলিশকে সহযোগিতা করায় এবং পুলিশের তৎপরতায় এ এলাকার ডাকাতেরা এলাকা থেকে পালিয়ে অন্যত্র অপরাধ কর্মকান্ড করার পায়তারা করছে।
জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাইলাউ মারমা বলেন, “গ্রামবাসীর ভাষ্য, রাতের বেলা ডাকাতির উদ্দেশ্যে একদল ডাকাত তাদের গ্রামে ঢোকে ৷ পরে গ্রামবাসী সবাই জড়ো হয়ে ডাকাতদলের সদস্যদের গণপিটুনি দেয়৷ আহত একজনকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ৷ সে জানিয়েছে, তারা ডাকাতদলের সদস্য৷ তারা আট-দশজন মিলে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিলো ৷ রমজান মাস হওয়াতে গ্রামের লোকজন তখন জেগে ছিল৷ গ্রামবাসী ডাকাতদলের টের পেয়ে তাদের গণপিটুনি দেয়।”
Discussion about this post