রূপগঞ্জে স্ত্রী হত্যার ২৪ বছর পর এবাদুল্লাহ নামের এক আসামির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক আমিনুল হক এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত এবাদুল্লাহ রূপগঞ্জের টাওরা এলাকার বাসিন্দা ফজলু মিয়ার ছেলে। হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই তিনি পলাতক।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০০০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি এবাদুল্লাহর সঙ্গে রূপগঞ্জের টাওরা এলাকার বাসিন্দা নজুমুদ্দিনের মেয়ে লিপি আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগে ছিল। বিভিন্ন সময় এবাদুল্লাহ তার স্ত্রীকে মারধর করতেন। এর জের ধরেই ওই বছরের ৫ জুলাই লিপি আক্তারকে হত্যা করে পালিয়ে যান এবাদুল্লাহ।
এ ঘটনায় নিহত লিপি আক্তারের বাবা নজুমুদ্দিন রূপগঞ্জ থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আজ রায় ঘোষণা করেন আদালত।
আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি সালাহ উদ্দিন সুইট ও কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান গণমাধ্যমকেেউল্লেখিত মৃত্যুদন্ডাদেশ দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এমন আদেশের পর আদালতে উপস্থিত অনেক বিচারপ্রার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, একটি হত্যা মামলা যখন রায় পেতে ২ যুগ পার করতে হয় তখন এই বিচারপ্রার্থী পরিবারটির কি অবস্থা দাড়ায় ? তবুও সান্তনা অতঃপর তো শাস্তি হলো পলাতক আসামীর।
Discussion about this post