বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারী) শুরু হওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার দিন সড়ক বন্ধ করে মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করায় ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী।
এবার নাসিক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, “শহরের ২০ লাখ মানুষের অধিকার খর্ব করে হকার নামধারী চিহ্নিত চাঁদাবাজরা শহরে নৈরাজ্য চালিয়েছে। এতে আমি মর্মাহত হয়েছি। আজ সবগুলো স্কুলে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। প্রতিটি স্কুলে শিক্ষার্থীরা যখন পরীক্ষা দিচ্ছিল তখন পুরো শহরকে দেড় থেকে দুই ঘন্টা বন্ধ করে রাখলো। এই কাজটা তারা কীভাবে করলো তা আমার বোধগম্য নয়। তাহলে কী আমরা নগরবাসী কতিপয় চাঁদাবাজ ও ফুটপাতে প্রকাশ্যে হত্যাকারীদের কাছে নগরবাসী জিম্মি হয়ে গেলাম ?’
বৃহস্দুপতিবার দুপুরে গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে মেয়র বলেন, ‘নগরবাসীর সুবিধার্থে সুন্দর একটি নগরী গড়ার লক্ষে দুই এমপি, ডিসি, এসপি, মেয়র সকলে মিলে আলোচনা করলাম। উচ্চ পর্যায়ের এইসব প্রতিনিধিদের এই আলোচনার তাহলে ফলাফল কী থাকলো ? দাবি-দাওয়া আদায়ের প্রক্রিয়া কী শহরকে বন্ধ করে দেওয়া ?’
আগেও কয়েকশ’ হকারকে পুনর্বাসন করার কথা উল্লেখ করে সিটি মেয়র বলেন, ‘আমি প্রায় ৮০০ হকারকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দিয়েছি । তারা সেসব দোকান বিক্রি করে দিয়ে আবারও কেন ফুটপাতে বসলো ? এইটার বিচার আগে হওয়া উচিত। এইটা নিয়ে তো নেতারা কথা বলছেন না ।’
তিনি আরও বলেন, ‘চিহ্নিত চাঁদাবাজরা যারা হকারকে খুন করে জামিনে এসে ডিসি-এসপি সাহেবের সাথে বৈঠক করছে, ঐতিহ্যবাহী একটা পার্টির সভাপতি আবার তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। শহরের মানুষের সুবিধার কথা চিন্তা না করে সমাজতন্ত্রের কথা বলে এইভাবে চাঁদাবাজদের তারা সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে, এইটা দেখে আমার লজ্জা লাগে। এইরকম পরিস্থিতি চলতে থাকলে জনগণ যখন আমাদের উপরে আস্থা হারিয়ে ফেলবে, তখন এসবের বিচারের ভার এক সময় সাধারণ মানুষই নিজের হাতে তুলে নিবে।’
আইভী বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান মহোদয় দায়িত্ব নিয়েছেন, সেই দায়িত্ব পালন করতে না দিয়ে শহরে দাপিয়ে বেড়ানো হকার নামধারী চিহ্নিত চাঁদাবাজ আজ যে নৈরাজ্য করলো সেই ব্যাপারে প্রশাসন আর আমাদের এমপি মহোদয় কী ব্যবস্থা নিবেন তা জানি না। কিন্তু আমি তাদের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রইলাম।’
Discussion about this post