নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের তারাব জামিদানি পল্লি এখন ইউনেস্কোর ঐতিহ্যর তালিকায় স্থান করে নিয়েছে।
কিন্তু জামদানি তৈরির জন্য যে রাসায়নিক রঙ ব্যবহৃত হয় সেটি পরিবেশ ও শ্রমিকদের জন্যে ক্ষতিকর।
সেই ক্ষতি এড়াতে এবার নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের তারাবো এলাকার জামদানি পল্লীতে বাসানো হলো তরল বর্জ্য শোধনাগার বা ইটিপি। যাতে অর্থায়ন করেছে বিশ্বব্যাংক ও পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন।
নারায়ণগঞ্জের তারাবো উপজেলার বেসিক জামদানি পল্লী। জামদানি তৈরির অনুষঙ্গ হিসেবে এখানে ব্যবহার করা হয় কেমিক্যাল ডাইং। এই কেমিক্যাল মিশ্রিত পানি পরিবেশ ও শ্রমিক দুইয়ের জন্যই মারাত্মক ক্ষতিকর।
শ্রমিকরা জানান, এই কেমিক্যাল কোনভাবে হাতে লাগলে হাত পুড়ে যাবে। কাজের সময় এই ক্ষতিকর পদার্থই তাদের নাকে-চোখে লেগে যায়। অনেকে তাই এই কাজের পর হাঁচি-কাশি, ঠাণ্ডাসহ বিভিন্ন সমস্যায় ভোগেন।
তাই এবার জামদানি পল্লীর জন্য স্থাপন করা হলো বিশেষ একটি ইটিপি। এর ফলে ডাইংয়ের দূষিত পানিতে পরিবেশের কোন ক্ষতি হবেনা।
নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোবারক হোসেন বলেন, অতিরিক্ত যে পানিতে জলাবদ্ধতা হতো এ ব্যবস্থায় সেখানে ভালোভাবে পরিশোধ করে পুনরায় পানি ব্যবহার করা যায়। এতে পরিবেশে তেমন কোন খারাপ প্রভাব পড়বে না।
বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ও পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় এই পরিশোধনাগারটি স্থাপন করেছে সেবা নারী ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র।
তাঁতিরা বলছেন এর মধ্য দিয়ে জামদানি পল্লীর পরিবেশের যেমন উন্নতি হবে। তেমনি তাঁতিদের স্বাস্থ্য ঝুঁকিও কমবে।
তবে ভবিষ্যতে জামদানি পল্লীর তাঁতিদের কৃত্রিম কেমিকেল ডায়িংয়ের পরিবর্তনে প্রাকৃতিক ডায়িং ব্যবহারে উৎসাহিত করা হবে, বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
সেবা নারী ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইদা রোকসানা খান জানান, ধাপে ধাপে পানিকে শোধন করা হয়।
তাঁতিরা জানান, আগে তারা গরমে কাজ করলেও এখন ফ্যানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগুন নির্বাপণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাই এখন সবাই মন দিয়ে কাজ করতে পারেন।
Discussion about this post