কথায় আছে,, “চোরে না শুনে ধর্মের কাহিনী আর চোরে চোর মাসতুতো ভাই। এমন প্রবাদের প্রমাণ করলেন নারায়ণগঞ্জ ডায়াবেটিক হাসপাতালের শীর্ষ কর্তারা।
নানা সমালোচনা, ডায়াবেটিক আক্রান্ত অসুস্থ্যদের অর্থ আত্মস্যাতের ঘটনায় তোলপাড়ের পর নগরীর নাগবাড়ি এলাকার এই হাসপাতালের দায়িত্ব গ্রহণ করেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনের ভাই এবং জেলা গণফোরামের সভাপতি নানাভাবে বিতর্কিত অন্যের বিশাল সম্পদ লুণ্ঠনকারী দেলোয়ার হোসেন চুন্নু ।
এই চুন্নু সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করলেও সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন নগরীর আরেক বিতর্কিত মাদক ব্যবসায়ী এবং আদালত কর্তৃক দন্ডপ্রাপ্ত প্রতারক কাসেম জামাল।
ডায়বেটিক হাসপাতালের ভিতরেই অন্তঃসত্ত্বা একজন নার্স নির্যাতনের শিকার হলেও এ বিষয়ে কোন টুশব্দটিও করার সাহস করছে না কেউ ।
এমন হামলার শিকার হয়ে গুরুতর অসুস্থ্য নার্স তানিয়া আক্তার নিজেই নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট এর কাছে স্বীকার করেন তার উপর হামলা চালিয়েছেন দেলোয়ার হোসেন চুন্নু । এর বেশি তিনি কিছু বলতে চান নাই নানা ভয়ের কারণে।
এমন ঘটনার বিষয়ে ডায়াবেটিক হাসপাতালের অফিস সেক্রেটারী মোবারক হোসেন অন্তঃস্বত্ত্বা নার্স তাানিয়ার উপর হামলার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, এই নার্স তানিয়াকে ডায়াবেটিক হাসপাতাল থেকে সিটি সেন্টারের হাঠাৎ করে বদলী করা হয়েছে । এই তানিয়া নিজে গায়নী সমস্যা ছাড়াও কনসেপ্ট করেছে । এই অবস্থায় ডাক্তার তানিয়াকে খুব একটা নড়াচড়া করতে বারণ করেছে । তাকে হঠাৎ বদলী করার বিষয়টি নিয়ে কথা বলার এক পর্যায়ে এমন অনাকাখিংত ঘটনা ঘটেছে। পেটের বাচ্চা নষ্ট হয়ে গেছে। ঘটনার পর পর প্রেসক্লাব থেকে সাংবাদিক এসেছিলেন। তারা নাকি সভাপতির আত্মীয়। তারা ভিতরে বসে কি কথা বলেছেন তা আমি জানি না।
ঘটনাটি ঘটেছে রোববার (২৫ জুন) সকালে। নগরীর ডায়াবেটিক হাসপাতালের অভ্যন্তরেই। ডায়াবেটিক হাসপাতালের অভ্যন্তরেই অন্তঃসত্ত্বা নার্স তানিয়া আক্তারকে পেটে লাথি, ঘুষি দিয়ে লাঞ্চিত করে দেলোয়ার হোসেন চুন্নু। এমন ঘটনায় অন্তঃসত্ত্বা নার্স তানিয়া আক্তার আহত হয়ে পরলে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসা প্রদান করে হাসপাতালের ডাক্তারগণ । এমন ঘটনার তোলপাড়ের সৃষ্টি হলে প্রেসক্লাবের একজন বিশেষ পেশার ব্যক্তি ঘটনার কিছুক্ষন পরে নাগবাড়ি ডায়াবেটিক হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার অপচেষ্টা করে।
নাম প্রকাশ না করার অনুরোধে হাসপাতালের নির্ভর যোগ্য একটি সূত্র বলেন, নার্স তানিয়াকে নির্যাতনের পর প্রেসক্লাবের লোকজন দেলোয়ার হোসেন চুন্নুর সাথে বসে ঘটনা ধামাচাপা দিতে মোটা অংকের টাকা লেনদেন করেছে। এই কারণেই ঘটনাটি রয়ে গেছে সকলের অজানা। আর কাসেম জামাল এই হাসপাতলের সভাপতি, চুন্নু সাধারণ সম্পাদক । তারা দুইজন ই একসাথে বসে কালীরবাজারে জুয়া খেলেন।
চুন্নু কর্তৃক নার্স তানিয়ার উপর এমন হামলার ঘটনা ধামাচাপা দিতেই প্রেসক্লাবের বিশেষ পেশার একজনকে নিয়ে সকল গণমাধ্যম ম্যানেজে দুই লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
হাসপাতালের সভাপতির বিরুদ্ধে আদালত কর্তৃক প্রতারনার অভিযোগে দন্ড ছাড়াও নারায়ণগঞ্জ হাইস্কুল ও আদর্শ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নানা লুটপাটের অভিযোগ দীর্ঘদিন যাবৎ চাউর রয়েছে নগরীতে ।
আর দেলেওয়ার হোসেন চুন্নু নগরীর একজন ব্যাপক সমালোচিত প্লে বয় নায়কখাত প্রতারকের শেল্টারদাতা ছাড়াও ঘনিষ্ঠ বন্ধু হারুনের বিশাল সম্পত্তি প্রতারনা করে আত্মস্যাৎ করায় অসংখ্যবার নগরীতে বিচার সালিশীও হয়েছে চুন্নুর বিরুদ্ধে ।
এতো অভিযোগের বিষয়ে একাধিকবার দেলোয়ার হোসেন চুন্নুর মুঠোফোনে কল করে এবং ম্যাসেজ দিয়েও কোন বক্তব্য পাওয়া যায় নাই।
Discussion about this post