পরকীয়া প্রেমিকের সাথে স্ত্রীর নানা কেলেংকারীর খবর জেনে ফেলায় স্বামী মোহাম্মদ রানা (৩৩) ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা ছেড়ে নারায়ণগঞ্জের বাবা মায়ের কাছে চলে আসলে ছোট্ট একটি বসবাসের অনুপোযোগি চিলেকোঠা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতো । চিলেকোঠায় একা বসবাসের এক পর্যায়ে গত বছর ৮ ডিসেম্বর গভীর রাত তিন টায় পূর্ব পরিকল্পনানুযায়ী স্ত্রী রোজিনা নারায়ণগঞ্জে এসে স্বামীর এই চিলেকোঠা থেকে বের করে উপুর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে ।
নারায়ণগঞ্জ শহরের বাবুরাইলের পাকিস্তান হাউস হিসেবে পরিচিত জুলহাস মিয়ার ভাড়ীর তৃতীয় তলার চিলেকোঠায় স্ত্রী রোজিনা মোহাম্মদ রানার হাতে, বুকে ও গলায় ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায় ।
মোহাম্মদ রানা একাই এই চিলেকোঠায় থাকতো বলে জানিয়েছেন নিহতের বাবা ও মামলার বাদী আহম্মদ আলী । আর স্ত্রী রোজি থাকতো বরিশালের উজিরপুর এলাকায় ৷
স্ত্রী ও তার সাথে থাকা লোকজনের হামলার শিকার হয়ে গভীর রাতে মোহাম্মদ রানা চিৎকার করলে বাড়ির লোকজন আহত অবস্থায় উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে নিয়ে আনা হলে চিকিৎসক নুরুজ্জামান আঘাৎপ্রপ্ত মোহাম্মদ রানা (৩৩) কে মৃত ঘোষণা করে মর্গে পাঠায় ৷
এমন হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই মাসুম জানায়, ভাবী রোজিনার সাথে বাবু নামের এক ব্যক্তির পরকীয়া প্রেম ছিলো বলে আমরা শুনেছি। এই বাবুর সাথেই ঢাকার মীরপুরে থাকতো ভাইয়ের হত্যাকারী ভাবী ঘাতক রোজিনা।
এমন হত্যাকান্ডের পর দীর্ঘ ৬ মাস বিভিন্ন এলাকায় পালিয়ে বেড়ায় স্বামীর হত্যাকারী রোজিনা। শেষ পর্যন্ত র্যাবের সহায়তায় রাজধানীর মিরপুর থেকে নারায়ণগঞ্জ থানার পুরিশ গ্রেফতার করা হয় হত্যা মামলার অন্যতম আসামী রোজিনাকে।
নারায়ণগঞ্জ সদর থানার উপ পরিদর্শক হাফিজুর রহমান হাফিজ নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট কে বলেন, ঠিক কি কারণে এই হত্যাকান্ড তা এখনো জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় নাই । রাতে গ্রেফতারের পর রোজিনাকে থানায় রাখা হয়েছে । উর্ধতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনানুযায়ী রোজিনাকে আদালতে পাঠানো হবে।
Discussion about this post