“আর মাত্র ৫ দিন পর অর্থ্যাৎ ৩১ মে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি), পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) ও পরিবেশ অধিদপ্তরের নারায়ণগঞ্জে দায়িত্বরত কর্মকর্তাকে তলব করেছে হাইকোর্ট । এই কর্মকর্তাদের স্বশরীরে হাজির হয়ে আগামী বুধবার (৩১ মে) উচ্চ আদালতের আদেশ সত্ত্বেও অবৈধ ইটভাটা কেন বন্ধ হয় নাই তার ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
গত ১৭ মে (বুধবার) হাইকোর্টের বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি শওকত আলী চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
উচ্চ আদালতের এমন নির্দেশনায় ‘শাক দিয়ে মাছ ঢাকা’র মতো মূল ঘটনায় আদালতকে বিভ্রান্ত করতে এমন অপচেষ্টা করেছে নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের অসাধু কর্মকর্তারা। আর এমন কর্মকান্ডে পরিবেশ অধিদপ্তরের অসাধু চক্রকে নানাভাবে অজ্ঞাত কারণে সহায়তা দিচ্ছে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন। আগামী ৩১ মে উচ্চ আদালতে উপস্থিত হয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের অসাধু চক্র কিছু পত্রিকার কাটিং উপস্থাপনসহ তারা বিশাল বিশার কর্মযজ্ঞ করেছেন এমনটি প্রমাণের জন্য অপচেষ্টা চালানোর জন্যই আজ বৃহস্পতিবার (২৫ মে) এর এই নাটকীয় অভিযান চালিয়েছে !”
উল্লেখিত এমন ক্ষোভ প্রকাশ করে নারায়ণগঞ্জে কর্মরত একজন শীর্ষ কর্মকর্তা নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট কে ৫ মিনিট ১৩ সেকেন্ডের মুঠোফোনের আলোচনায় আরো বলেন, “আমাকে এমন বিষয়ে মন্তব্য করতে বলেছেন যার জন্য আমি খুবই বিব্রত। এ বিষয়ে আমি কি বলবো ? এক কথায় চোরে চোরে মাসতুতো ভাই। আমার নামটা প্লিজ প্রকাশ কইরেন না। আজকের এই অভিযান হচ্ছে আগামী ৩১ মে উচ্চ আদালত কে বোকা বানানোর অপচেষ্টা মাত্র !“
জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের বন্দরে এক অভিযানে লাইসেন্সহীন দু’টি ইটভাটার মালিককে ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। একইসঙ্গে ইটভাটা দু’টির কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে চুল্লি ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলার লক্ষণখোলার ফনকুল এলাকায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত আরা খানমের নেতৃত্বে অভিযান চালায় পরিবেশ অধিদপ্তর।
এই সময় মেসার্স চাচা-ভাতিজা ব্রিক ফিল্ডকে ২০ হাজার টাকা ও মেসার্স এ বি এফ ব্রিককে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তরের নারায়ণগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের উপ পরিচালক মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গণমাধ্যমকে জানান, ভাটা দু’টি পরিবেশগত ছাড়পত্র ও জেলা প্রশাসনের ইট পোড়ানো লাইসেন্স ব্যতীত পরিচালিত হচ্ছিল। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ (সংশোধিত-২০১৯) এর বিভিন্ন ধারা লংঘনের দায়ে উক্ত ইটভাটায় ভ্রাম্যমান অভিযান চালিয়ে জরিমানা করা হয় এবং এক্সেভেটরের দিয়ে ইটভাঁটির কিলন সম্পূর্ণ ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়। উক্ত অভিযানে প্রসিকিউশন প্রদান করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শেখ মোজাহীদ।
তিনি আরো জানান, সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে রীট চলমান থাকায় বন্দরের শাসনেরবাগ, ফনকুল ও দাশেরগাঁয়ের সাইফুল অটো ব্রিকস, মেসার্স জামান ব্রিকস, মেসার্স বন্ধন ব্রিকস, মেসার্স আল-মদিনা ব্রিকস, মেসার্স আল্লাহর দান ভাই ভাই ব্রিক, মেসার্স আল মদিনা ব্রিকস ও মেসার্স মা বাবার দোয়া ব্রিকস নামের ৭টি ইটভাঁটির বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়নি।
Discussion about this post