চানপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্র এলাকার নিয়ন্ত্রণ এক সময় স্থানীয় ইউপি সদস্য বজলুর রহমান বজলুর হাতে ছিল। বজলু মারা যাওয়ার পর এ এলাকার আধিপত্য নিজেদের দখলে নিতে জয়নাল গ্রুপ, শমসের গ্রুপ ও শাহাবুদ্দিন গ্রুপ তৎপর হয়ে ওঠে। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় অস্ত্রের মহড়া দেয় গ্রুপ তিনটি।
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বুধবার সকালে জয়নাল গ্রুপের সঙ্গে শমসের ও শাহাবুদ্দিন গ্রুপের সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে পথচারীসহ উভয়পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে চারজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে চারজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার (১২ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়ে দফায় দফায় চলতে থাকে। আহত শ্রমিকরা হলেন মো. সানি, পারভেজ, মো. রুমান এবং স্থানীয় বাসিন্দা ইমন।
এরমধ্যে ইমনকে প্রথমে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে অবস্থা গুরুতর দেখে তাকেও ঢামেকে পাঠানো হয়েছে।
রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) নাজমুল আলম বলেন, ইমনকে কিছুক্ষণ আগে আনা হয়। তিনি গুলিবিদ্ধ হওয়ার কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হচ্ছে। তাই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, ঢামেকে চিকিৎসাধীন আহতরা জানান, তারা চনপাড়ায় থাকেন। সকালে স্থানীয় কয়েকটি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের সময় তারা ওই এলাকা দিয়ে কাজে যাওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হন। সংঘর্ষের কারণ সম্পর্কে তারা কিছুই জানেন না।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, সম্রাট ও রুমানের পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। আর সানির গোপনাঙ্গের পাশে গুলির চিহ্ন দেখা গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, ঘটনাটি রূপগঞ্জ থানা এলাকায়। তাৎক্ষণিকভাবে থানা পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তারা ব্যবস্থা নিচ্ছে।
চনপাড়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মামুন হোসাইন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।
জেলা পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (গ সার্কেল) আবির হোসেন বলেন, গতকাল সন্ধ্যার দিক থেকেই উত্তেজনা বিরাজ করছিল। পরে রাত দুইটার দিকে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের লোকজন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে তিনজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানা গেছে। বর্তমানের ওই এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
Discussion about this post