একদিকে দেশের নদী দখলমুক্ত রাখতে সরকারি তৎপরতা, অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জের নদী দখল করতে ব্যাস্ত ভূমিদস্যরা।
দেশের চারদিকে নদীগুলো বাঁচিয়ে রাখতে বরাদ্ধ রাখা অর্থ আর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে দেওয়া ‘গাইড লাইন’ যেন কোনো কাজেই আসছে না। নদীর সীমানা নির্ধারণ করে বসানো সীমানা পিলারকে কেউ তোয়াক্কাই করছে না।
অবৈধ দখলদারদের থাবায় শীতলক্ষ্যার সীমানা পিলারেরও অস্তিত্ব নেই। শীতলক্ষ্যায় এমন সর্বগ্রাসী দখলবাজদের শীর্ষে রয়েছে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা: সেলিনা হায়াৎ আইভীর সফর সংগী কন্টেকটার মো: সরিফ হিরা হিরুর ভাই হাবিবুল্লাহ টুটুলের নাম।
নাসিক মেয়রসহ হাবিবুল্লাহ টুটুল বিভিন্ন কর্মকর্তার নাম বিক্রি করে ইতোমধ্যে প্রায় কয়েক শত একর জমি বাউন্ডারি দিয়ে অবৈধ দখল করে নিয়েছে।
মদনগঞ্জ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন সংলগ্ন শীতলক্ষ্যার কূল ঘেঁষে বাউন্ডারি করে এ নদী দখলের অভিযোগ উঠেছে। বিশাল আকৃতির বাউন্ডিারি দিয়ে শীতলক্ষ্যা নদী দখল করে রাখলেও প্রশাসন কোন উচ্ছেদের উদ্যোগ নিচ্ছে না।
৪ এপ্রিল (মঙ্গলবার) সকালে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নাসিক ১৯ নং ওয়ার্ডের মদনগঞ্জ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন সংলগ্ন বিআইডাব্লিউটিএ সম্পত্তি অবৈধ ভাবে বাউন্ডারি দিয়ে কয়েক শত একর জমি দখল করে নিয়েছে এলাকার হাবিবুল্লাহ টুটুল। এ সম্পত্তি দখল করে বিক্রির পায়তার চালাচ্ছে বলে জানান এলাকাবাসী।
এলাকার একাধিক ব্যাক্তি বলেন, হাবিবুল্লাহ টুটুল নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা: সেলিনা হায়াৎ আইভীর কাছের লোক কন্ট্রাক্টর মো: সরিফ হিরা হিরুর ভাই।
তার নারায়ণগঞ্জ জেলা ডিসি অফিসের অনেকের সাথে ভালো সম্পর্ক আবার কাউন্সিলর মো: মোখলেছুর রহমান চৌধুরীর সাথে ভালো সম্পর্ক তিনি নদী দখল করলে কে বাধা দিবে কার এত শাহস আছে। যেখানে প্রশাসনই নিরব সেখানে সাধারন মানুষের কি বলার আছে। সরকারি সম্পত্তি দখল করে বিক্রি করে টাকা উপর্জন করা চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া আমাদের কিছু বলার এবং করার নেই।
এব্যাপারে নাসিক ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোখলেছুর রহমান চৌধুরী বলেন, বিআইডাব্লিউটিএ সম্পত্তি কি ভাবে দখল করলো তা আমার যানার এবং দেখার নেই, দেখার জন্য বিআইডাব্লিউটিএ লোক আছে তারা দেখবে। অবৈধ দখলদারদের বিআইডাব্লিউটিএ কেন উচ্ছেদ করছে না, তা আমি বুঝি না। হয়তো তাদের সাথে যোগাযোগ করেই এ সম্পত্তি নিয়েছে।
এব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এইচ এম ছালাউদ্দিন মনজুর সাথে কথা হলে বলেন, ফাইলপত্র না দেখে কিছু বলতে পারবো না, আপনি যে কথা বলতেছেন আপনি সামনা সামনি আসবেন তখন দেখে বলবো।
এব্যাপারে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডাব্লিউটিএ) যুগ্ম পরিচালক (নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দর) মো: শহিদুল্লাহ বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা নেই তবে আগামি কাল সরজমিনে দেখে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া নদীর সীমানা পিলার উপেক্ষা করে কেউ যদি জমি দখলে নামে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Discussion about this post