আদালতের শর্ত অনুযায়ী স্ত্রীর সাথে মীমাংসা না করে উল্টো ফের মা বাবাকে সাথে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করায় ফের চোরাই স্বর্ণ ও সুদ কারবারী অঞ্জন কর্মকার কে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত ।
স্ত্রী নির্যাতন মামলায় নারায়ণগঞ্জ শহরের কালীরবাজার স্বর্ণপট্টি এলাকার গোপীনাথ কর্মকারের পুত্র চোরাই স্বর্ণ ব্যবসায়ী অঞ্জন কর্মকারকে কয়েকদিন কারাভোগের পর গত বছর ২৩ অক্টোবর রোববার শর্ত সাপেক্ষে জামিন দেয় আদালত ।
এরপরেও স্ত্রীর উপর মানুষিক নির্যাতন বন্ধ করে নাই অঞ্জন ও তার বাবা মা ।
এমন ঘটনায় ঘটনায় চার মাস অতিবাহিত হলেও ৬ দফা আদালত থেকে সময় নিয়ে স্ত্রী ও সন্তানের সাথে কোন মীমাংসা না করে উল্টো নানাভাবে হত্যার হুমকিসহ বাবা ও মা নিয়ে স্ত্রীকে মারধর করেই আসছিলো অঞ্জন।
এমন অমানষিক মারধরের ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন বিশেষ ট্রাইবুনাল আদালতে নির্যাতিতা স্ত্রী ফের মামলা করলে সেই মামলায় ও শর্ত সাপেক্ষে জামিন নেন চোরাই স্বর্ণ ব্যবসায়ী অঞ্জন কর্মকার ।
এতো কিছুর পরও বারবার মীমাংসার শর্তে জামিন নিয়ে দফায় দফায় হামলার ঘটনায় এবার নারায়ণগঞ্জ আদালতের অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার আলমের আদালতে উপস্থিত হয়ে ফের জামিনের আবেদন করলে এবার (১৪ ফেব্রুয়ারী) মঙ্গলবার বারবার স্ত্রী নির্যাতন ও যৌতুক মামলায় অঞ্জন কর্মকারকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ।
এমন ঘটনায় কালীর বাজার স্বর্ণপট্টি এলাকায় ব্যপক সমালোচনা শুরু হয়েছে ।
অনেকেই বলেছেন, স্ত্রী নির্যাতন ছাড়াও মাদক সেবন,, নারী কেলেংকারী ও চোরাই স্বর্ণ বিক্রয়ের কেন্দ্রস্থল কালীরবাজারের অঞ্জন কর্মকারের দোকানের ভিতরে বসেই সকল ধরণের অপরাধ৷। যা প্রতিনিয়ত চালিয়ে আসছিলো এই অঞ্জন।
চোরাই স্বর্ণ বেচাকেনাসহ সুদের কারবারিদের হোতা অঞ্জন কর্মকারের অর্থের লোভের কারণে বারংবার নিজের স্ত্রীকে নানাভাবে নির্যাতনসহ নানা কেলেংকারীতে জড়িয়ে পরে অঞ্জন কর্মকার। একই সাথে তার বাবা গোপীনাথ কর্মকার, বড় কাকা কালীর বাজার স্বর্ণ শির্পী সমিতির সভাপতি বিম্বনাথ কর্মকারসহ অঞ্জন কর্মকারের মা সবিতা রানী ।
দীর্ঘদিন যাবৎ কা্লীরবাজার স্বর্ণ শির্পী সমিতির সভাপতি বিম্বনাথ কর্মকার নিজেও মামলার বাদী দুলু রানী কর্মকারকে নানাভাবে কুপ্রস্তাব দেন বলে অভিযোগ রয়েছে ।
আদালত সুত্র জানায়, এই মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানায় নারায়ণগঞ্জ সদর থানা পুলিশ অঞ্জন কর্মকার কে গত বছর ২০ অক্টোবর রাতে গেফতার করে।
স্বামী শ্বশুর শ্বাশুড়ি, জেঠা শ্বশুর কর্তৃক নির্যাতনের শিকার মামালার বাদী দুলু রানী কর্মকার জানান, আমার এক ছেলে ইঞ্জিনিয়ার পড়াশোনা করতেছে । আরেক ছেলে স্কুলে পড়াশোনা করে । এই অবস্থায় আমার বাবার কাছ থেকে এখনো যৌতুকের দাবীতে আমার উপর সন্তানদের সামনে নির্যাতন চালায়। আমার স্বামী ছাড়াও আমার উপর নির্যাতন করে আমার শ্বাশুড়ী সবিতা রানী, শ্বশুড় গোপিনাথ কর্মকার, জেঠা শ্বশুড় বিশ্বনাথ কর্মকার। বিশ্বনাথ কর্মকার আমার জেঠা শ্বশুড় হলেও আমাকে তিনি নানাভাবে কুপ্রস্তাবও দেন। আর আমার শ্বশুড় আমার পিতৃতুল্য গোপিনাথ কর্মকার কে নারী কেলেংকারীর জন্য কতবার যে জনতার হাতে গণপিটুনীর শিকার হয়েছেন তার কোন হিসাব নাই । যর খবর পুরো কালীর বাজারের সকলেই জানেন। এতো কিছুর পরেও তারা আমাকে হত্যা করতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। আমি এখন খুবই অসহায় ।
Discussion about this post