শীর্ষ নেতাদের দৃস্টি আকর্ষণ করতে এবং বিএনপির রাজনীতিতে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ তার অবস্থান আরো পাকাপোক্ত করতে এমন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটাতে পূর্ব থেকেই পরিকল্পনা করেই পুলিশকে উস্কানী দিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার অপচেষ্টা করে।
আড়াইহাজারের পাঁচরুখীতে এমন ঘটনার জন্য তে কয়েকদিন যাবৎ ই পরিকল্পনা করে আসছে আজাদ ও তার ঘনিষ্ট কয়েজন। অত্যান্ত বিশ্বস্থ কয়েকজন কে নিয়ে এই বিদেশে অবস্থানরত বিএনপির নেতাদের আস্থায় আসার জন্যই এমন নাটক মঞ্চায়ণ করে নজরুল ইসলাম আজাদ।
এমন মন্তব্য আজাদের একটি ঘনিষ্ট সূত্র
এমন নাটকীয় সংঘর্ষে বিএনপি ও পুলিশের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন বিএনপি নেতা-কর্মীর আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে ।
ঘটনাটি ঘটেছে নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলার ঢাকা সিলেট মহাসড়কের পাচরুখী এলাকায় ।
শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর একটার দিকে উপজেলার সাতগ্রাম ইউনিয়নের পাঁচরুখীতে এমন সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করেছে।
এই সময় কেন্দ্রীয় বিএনপির সহআন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক লুৎফর রহমান আবদুসহ বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের কয়েকশ’ নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির নজরুল ইসলাম আজাদপন্থী একটি সূত্র আলাপচারিতার এক পর্যায়ে নিশ্চিত করে বলেন, “খোজ নেন, এই হাঙ্গামার মূলেই নজরুল ইসলাম আজাদের নাটক লুকায়িত রয়েছে। নজরুল ইসলাম আজাদকে সকলেই “বাইত্যা ইন্দুর” বলে ডাকে । সে যে কতটা কৌসূলী। তা সহজেই কেউ অনুমানই করতে পারবে না। আওয়ামীলীগের একজন শীর্ষ নেতা ও ওই নেতার পরিবারের সাথে গভীর সখ্যতা রয়েছে এই আজাদের। তার খবর সকলেই জানেন। আওয়ামীলীগের শীর্ষ ওই নেতার ঘটনা ধামাচাপা দিতেই এই নাটক মঞ্চায়ণ করেছে আজাদ ও তার বাহিনী।”
বিএনপির নেতারা জানান, বিদ্যুৎ, গ্যাস, নিত্যপণ্যসহ কৃষি উপকরণের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, সরকারের পদত্যাগ, খালেদা জিয়া ও নেতাকর্মীদের মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে কেন্দ্রঘোষিত পদযাত্রার অংশ হিসেবে সাতগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির পক্ষ থেকে মিছিল বের করা হয়। এই সময় পুলিশ তাদের পদযাত্রায় বাধা দেয়।
আড়াইহাজার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক বলেন, ‘রাস্তা অবরোধ করে রেখেছিল বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এতে মহাসড়কে তীব্র যানজট হলে তাদের সড়ক ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করা হয়। অনুরোধ না শুনে তারা পুলিশের উপর চড়াও হলে অ্যাকশনে যায় পুলিশ। বিএনপি নেতা-কর্মীরা পুলিশের উপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ আত্মরক্ষার্থে কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।’
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সি সার্কেল) আবির হোসেন বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক বন্ধ করে কর্মসূচি পালন করছিল। পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে চাইলে তারা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশ সদস্যরা ৪০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তাদের ইটপাটকেলে আমাদের তিন সদস্য আহত হয়েছেন। এমন ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে । মামলা দায়েরের প্রস্তুতিও চলছে এমন ঘটনায় ।
Discussion about this post