নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ, রূপগঞ্জ, আড়াইহাজার ও বন্দর উপজেলার পর এবার মুন্সীগঞ্জ জেলা গজারিয়া উপজেলায় তিতাসের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে অভিযান চালিয়েছে দায়িত্বে থাকা সেই আলোচিত ও কঠোরভাবে খোদ তিতাস দপ্তরেই সমালোচিত তিতাস গ্যাসের সোনারগাঁ আঞ্চলিক বিপণন বিভাগের উপ মহা ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী সুরুজ আলম ও তার নিয়ন্ত্রিত অনেকেই । এদের মধ্যে বিশেষ পেশার নির্দিষ্ট কয়েক জন বিশেষ আমন্ত্রণ করে বিশেষ বিশেষভাবে প্রচারের লক্ষ্যে দেয়া হয় নগদ ও বিকাশের মাধ্যমে অর্থ। যা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ চলছে সমালোচনা।
এমন ঘটনায় অনেকের প্রশ্ন, “এতো বিশাল বিশাল অবৈধ গ্যাস সংযোগ এতো দিন চললো কেমন করে ? তিতাস গ্যাসের সোনারগাঁ আঞ্চলিক বিপণন বিভাগের উপ মহা ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী সুরুজ আলম তর বাহিনী কি ঘন্টা বাজিয়েছেন ?”
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় পৃথক অভিযানে ৮ কিলোমিটার অবৈধ গ্যাস লাইন বিচ্ছিন্ন করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাশেদুল ইসলাম উপস্থিতিতে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ জানায়, ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ লাইন দুটির মাধ্যমে তেতৈতলা, বালুয়াকান্দি, কাজীরগাঁও, বড় রায়পাড়া, ছোট রায়পাড়া, আড়ালিয়া ও মুদারকান্দিসহ মোট সাতটি গ্রামে অন্তত ৭ হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ চলত।
তিতাস গ্যাসের সোনারগাঁ আঞ্চলিক বিপণন বিভাগের উপ মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী সুরুজ আলম জানান, বালুয়াকান্দি থেকে মুদারকান্দি পর্যন্ত আনুমানিক ৬ কিলোমিটার লাইনের মাধ্যমে প্রায় ৭ হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ চালু ছিল। অন্যদিকে তেতৈতলা গ্রামের আরেকটি লাইনের মাধ্যমে প্রায় ২ কিলোমিটার পর্যন্ত অন্তত ১ হাজার অবৈধ সংযোগ চালু ছিল।
প্রকৌশলী সুরুজ আলম বলেন, বৃহস্পতিবারের অভিযানে দুটি সংযোগই বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। গজারিয়া উপজেলার আরও কিছু জায়গায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ চালু রয়েছে বলে খবর পেয়েছেন। পর্যায়ক্রমে অভিযান পরিচালনা করে সব অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন মেঘনা আঞ্চলিক বিপণন অফিসের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান।
Discussion about this post