জেলায় দায়িত্বরত একজন কর্মকর্তা ক্ষোভ প্রকাশ করে নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট কে বলেন, “এমন চাঞ্চল্যকর চোরাকারবীর খবর কোস্ট গার্ডের কাছে থাকলেও নারায়ণগঞ্জের অন্যান্য আইনশৃংখলা বাহিনীর কোন সংস্থার কাছে ছিলো না কেন এমন তথ্য ? কউ জানতো না এটি কি বিশ্বাসযোগ্য।
দীর্ঘদিন যাবৎ কুমিল্লার প্রায় ১৫ টি শক্তিশালী চোরাকারবারী চক্র নিয়মিত মাদকসহ সকল ধরণের নিষিদ্ধ পন্য চোরাকারবারী করতে ঢাকা প্রবেশের পথে প্রতিটি থানার ক্যাশিয়ারের মাধ্যমে চুক্তি মোতাবেক আগে থেকেই অগ্রিম মাসোয়ারা প্রদানের পর গ্রীন সিগন্যাল নিয়েই পন্য পরিবহণ শুরু করে।
সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শাসনামলে প্রতিনিয়তঃ এমন চোরাই কারবারীদের কোটি কোটি টাকার পন্য আটকের পর ডিবির ক্যাশিয়ার নূরু ও কন্সষ্টেবল লাল মিয়ার মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জের আইনশৃংখলা বাহিনীর প্রতিটি ইউনিট কে ম্যানেজ করেই এই ব্যবসা পরিচালিত হতো। গত বছর ঈদ কে সামনে রেখে কয়েকটি বিশাল বিশাল চোরই কারবারীদের নিষিদ্ধ চালান আটক করে কোস্ট গার্ড । এরপর আবারো রুট পরিবর্তন করে সড়ক পথে শুরু করে ব্যবসা। এই চোরাই কারবারীদের সকল তথ্য ডিবি পুলিশের ক্যাশিয়ার নূরুর কাছে থাকলেও মহাধূর্ত এই নূরুকে সহজেই ধরতে পারে না কেউ । এই নূরুকে কঠোরভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই বেড়িয়ে আসবে চোরাই কারবারীদের সকল অজানা চাঞ্চল্যকর তথ্য ।
গত বছর ২৩ জুলাই সোনারগাঁয়ে র্যাব একই পন্থায় অর্ধশত কোটি টাকার মদ উদ্ধার করলে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। এমন চৌকশ কর্মকান্ডে সারাদেশ জুড়ে আইনশৃংখলা বাহিনীর প্রতি সাধুবাদ উঠলেও কোন কোন সংস্থার অসাধুদের কারণে এমন সাফল্য ম্লান হয়ে যায় বলে সমালোচনাও রয়েছে নগরীজুড়ে।
জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সাইনবোর্ড এলাকা থেকে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আসা বিপুল পরিমাণ ভারতীয় শাড়ি-কাপড়সহ এক জনকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড।
সোমবার (০২ জানুয়ারি ২০২৩) দুপুরে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আব্দুর রহমান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ০১ জানুয়ারি ২০২৩ আনুমানিক রাত ৩ ঘটিকায় নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সাইনবোর্ড এলাকা থেকে ২টি কাভার্ডভ্যানকে কোস্টগার্ড সদস্য কর্তৃক থামার সংকেত দিলে তারা সংকেত অমান্য করে সামনের দিকে চলতে থাকে, পরবর্তীতে কোস্টগার্ড সদস্যরা গাড়ি দুইটিকে ধাওয়া করে গাড়ি দুইটিকে আটক করে। পরবর্তীতে গাড়ি দুইটি তল্লাশী করে সরকারি শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে অবৈধভাবে আসা শাড়ি-কাপড়সহ ১ ব্যক্তিকে আটক করা হয়।
জব্দকৃত শাড়ি-কাপড়ের পরিমাণ সর্বমোট ৮৩৬১ পিচ (শাড়ি ৭৬৯৪ পিচ, থ্রি-পিচ ৬২৭ পিচ ও লেহেঙ্গা ৪০ পিচ) যার আনুমানিক বাজার মূ্ল্য প্রায় ১৬, ২০, ৫৪, ৫০০ টাকা (ষোল কোটি বিশ লাখ চুয়ান্ন হাজর পাঁচশত টাকা)। আটককৃত ব্যক্তি মো. আনোয়ার হোসেন (৩৫), কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার থানার এলাহাবাদ এলাকার বাসিন্দা।
তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে জব্দকৃত শাড়ি-কাপড় ও আটককৃত ব্যক্তিকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়।
Discussion about this post