নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারকারী নগরীর ব্যাপক আলোচিত সমালোচিত ফতুল্লা থানার কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি মোস্তফা কামালের গাড়িতে লাশ ।
এমন ঘটনায় দৃশ্য দেখে শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) ভোর ৫টায় গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে ।
ফতুল্লার সস্তাপুর এলাকার অনেকেই, বলেন মোস্তফা কামালের গাড়িতে কিসের লাশ ?
এমন লাশের ঘটনায় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে ।
দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর ঘটনার বিবরণে খোজ নিয়ে জানা যায়, ভোর রাত চারটা থেকে ফতুল্লার সস্তাপুর এলাকার ব্যবসায়ী এবং ফতুল্লা থানার কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি মোস্তফা কামালের বাড়ীতে অসুস্থ হয়ে পরেন সরকারী কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম (৫৫)।
পরে এই অসুস্থ্য আমিরুল ইসলাম কে নিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরে বেড়ানোর পর সকাল ৭ টা ৩৩ মিনিটের সময় নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে আনার পর জরুরী বিভাগের চিকিৎসক গোলাম মোস্তফা (জিএম) ঘুম থেকে উঠাতে কোন কর্মচারী সাহস না করায় ম্যাটস এর একজন অবৈধ শিক্ষানবীশ ছাত্র আমিরুর ইসলামকে মৃত ঘোষনাকালে মোস্তফা কামালের গাড়ি চালকসহ নিহতের লাশ বহনকারী কয়েকজন মোস্তফা কামাল কে দেখিয়ে বলেন, উনি আওয়ামীলীগ নেতা ও মহামান্য রাস্ট্রপতির ছেলে এমপি সাহেবের ঘনিষ্ঠ জন। এই কথা শুনে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত সহকারী সেবক ননী গোপাল চিকিৎসক গোলাম মোস্তফা (জিএম) কে ঘুম থেকে ডেকে তোলার পর গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ থানার কঞ্চিবাড়ি এলাকার মৃত নাজির হোসেন সরকারের পুত্র সচিবালয়ে চাকরীরত সরকারী কর্মকর্তা আমিরুল ইসরামকে মৃত ঘোষনা করেন।
এ সময় চিকিৎসক গোলাম মোস্তফা (জিএম) নিহতের সামনে না এসেই কোন রকম পরীক্ষা না করেই মৃত্যু সনদ দিয়ে লাশ দ্রুত ছাত্রপত্র দেয়।
এমন মৃত্যু ছাড়পত্র নিয়ে ফতুল্লা থানার কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি মোস্তফা কামালের গাড়ির সিটে লাশ নিয়ে রওয়ানা দেয় ফতুল্রার দিকে। লাশ কোথায় নেয়া হবে হাসপাতালের কর্মচারীদের এমন প্রশ্নেও মোস্তফা কামাল ও তার সাথে আসা নিহতের একমাত্র পুত্র এবং অন্যান্যরা বলেন, লাশ ফতুল্লায় দাফন করা হবে। নিহতের এক ভাই পুলিশের সার্জেন্ট বলে দাবী করা হলেও তাদের জানানো হয় নাই বলেও মন্তব্য করেন মোস্তফা কামালের সহযোগীরা ।
এমন রহস্যজনক আচরণে ব্যাপক গুঞ্জনের ঝড় উঠে নগরীজুড়ে । অনেকেই ফোন করে জানতে চান এবং প্রশ্ন করেন, ‘ফতুল্লা থানার কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি মোস্তফা কামালের গাড়িতে লাশ ?’
Discussion about this post