বারবার এমন উচ্ছেদের পর সর্বত্র ই ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠে । এবাবো সেই সমালোচনা আরো জোড়ালোভাবে উচ্চারিত হচ্ছে সোনারগাঁয়ে।
অনেকেই এমন উচ্ছেদের পর কঠোর সমালোচনা করে বলেছেন, “নারায়ণগঞ্জের সড়ক ও জনপথ, হাইওয়ে পুলিশ অথবা থানা পুলিশ এই অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে যখনই অভিযান করে তখন বুঝতে হয় কোন কোন স্বার্থের কারণে এই উচ্ছেদের ঘটনা ঘটে।
অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে প্রতিদিন বিশাল চাঁদাবাজির একটি নির্ধারিত নির্দিষ্ট অংকের অর্থ প্রতিটি সরকারী সংস্থার অসাধুৃ কর্তাদের টেবিলে চলে যায় স্বয়ংক্রিয়ভাবেই । এ যেন চাঁদাবাজির মেশিন। এই মেশিনের কোথাও কোন ত্রুটি ঘটলেই উচ্ছেদ নামক নাটক মঞ্চায়ন করে কোন না কোন সংস্থা। অভিযান কে “জনস্বার্থে“ বলে প্রচার হলেও আসলে অসাধু কর্মকর্তারা কার স্বার্থে কি করেন তা তারাই ভালো বলতে পারবেন বলে মন্তব্য করেছেন উপস্থিত অনেকেই ।”
ক্ষুদ্ধ অনেকেই আরো বলেন, এই উচ্ছেদ নাটক নাকি সঠিক উচ্ছেদ ! তা দেখার বিষয় এই উচ্ছেদ কতক্ষন স্থায়ীত্ব থাকে।
জান যায়, সোনারগাঁয়ে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা সহস্রাধিক দোকান উচ্ছেদ করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় কয়েকটি চক্র সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গা অবৈধভাবে দখল করে দোকানঘর নির্মাণ করে ভাড়া আদায় করছিল। বার বার উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেও কোনোভাবেই তাদের স্থায়ীভাবে উচ্ছেদ করা সম্ভব হয়নি। এ দোকানপাট নির্মাণের ফলে ওই এলাকায় যানজট লেগেই থাকত। এছাড়া সড়ক ও জনপথের ওই জায়গায় একটি ফুটওভার ব্রিজ ও ইউলুপ নির্মাণ হবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
উচ্ছেদ অভিযানে নারায়ণগঞ্জ সড়ক বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী একেএম মনির হোসেন, সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজওয়ান-উল-ইসলাম, সোনারগাঁ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইব্রাহিম, নারায়ণগঞ্জ সড়ক বিভাগের ভিটাকান্দির উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবুল হোসেনসহ বিপুল পরিমাণ পুলিশ ও সড়ক জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সড়ক জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী শাহানা ফেরদৌস জানান, এ বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারবো না। সোনারগাঁ ইউএনও রেজওয়ান উল ইসলাম বিস্তারিত বলতে পারবেন। তিনি দুদিন আগে ফোন করে উচ্ছেদের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি এবং জনবল চেয়েছেন। আমরা তা দিয়েছি।
সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেজওয়ান উল ইসলামকে একাধিকবার ফোন দিলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।
সোনারগাঁ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইব্রাহিম জানান, দীর্ঘদিন ধরে তারা মহাসড়ক দখল করে দোকান বসিয়ে যানজট সৃষ্টি করতেন। ফলে পথচারীদের চলাচল অসুবিধা সৃষ্টি হতো। উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে মহাসড়কে থাকা সব অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও তারা যেন মহাসড়কে বসতে না পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
Discussion about this post