নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, “শহরে ইদানীং চুরি-ছিনতাই বেড়ে গেছে। কয়েক মাস আগে ১২নং ওয়ার্ডে বিদেশি মেহমানের মোবাইল চুরি হয়। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সেই মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছিল, এমন ঘটনায় আমাদের লজ্জায় পড়তে হয়েছিলো।”
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মিলনায়তনে নগর উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে সভাপতির বক্তব্যে মেয়র ডাক্তার আইভী এমন মন্তব্য করেন।
তিনি আরও বলেন, ডিসি, এসপি, র্যাব, পুলিশ প্রশাসন ও সিটি কর্পোরেশন সম্মিলিতভাবে কাজ করলে নগরে সব কিছুর উন্নয়ন সম্ভব। ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদ, অবৈধ ট্রাকস্ট্যান্ড, অবৈধ ডায়াগনস্টিক সেন্টার, নিয়ম মেনে অটোরিকশা চালাতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ও গলিগুলো তুলনামূলক সরু। সেখানে মাঝে মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের গাড়িও যেতে সমস্যায় পড়তে হয়।
আইভী বলেন, ৬৪টি জেলায় প্রতিযোগিতা হয় এই নারায়ণগঞ্জেও সেই প্রতিযোগিতা থাকবে। এভাবে সবাইকে নিয়ে নগর উন্নয়ন করতে হবে। দলের উন্নয়নের কথা বলব, দলের কথা বলব, আমি উন্নয়ন করে যাবো। আমরা সবাই যদি সমাধান না করি তাহলে জনগণ কোথায় যাবে? তারা আমাদের ভোট দিয়ে এই চেয়ারে বসিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলার সাবেক এসপি হারুনের (বর্তমান ডিবিপ্রধান) আমলে ফুটপাত, অটোরিকশা, যানজট ও ট্রাকস্ট্যান্ড নিয়ম মেনে চলেছিল। এখন কেন সম্ভব হচ্ছে না? ফুটপাত দিয়ে সাধারণ মানুষ সুন্দরভাবে চলাচল করেছে। জেলা পুলিশের তো রেকার রয়েছে। আমাদের সিটি কপোরেশনের রেকার নেই। সে কারণে ট্রাফিক পুলিশের রেকার রাস্তা বুঝে কাজ করলে যানজট শহরে থাকে না।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শহিদুল ইসলামের সঞ্চালয়নায় সভায় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক (উপ-সচিব) আনোয়ার হোসেন, র্যাব-১১ কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা, সিভিল সার্জন ডা. এ এফ এম মুশিউর রহমান, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. আমির খসরু, প্যানেল মেয়র-১ আব্দুল করিম বাবুর উপস্থিতিতে মেয়র আইভী বলেন, সিটি কর্পোরেশন ও জেলা প্রশাসনের দূরত্ব তৈরির জন্য এক প্রভাবশালীর অধিনস্থ সাংবাদিকরা পত্রিকায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে নিউজ প্রকাশ করেন। যেগুলো আমি বলি না, সেগুলোকে হাইলাইট করে ২০-২৩টা পত্রিকায় ছাপা হচ্ছে। এগুলো নিয়ে আপনারা সতর্ক থাকবেন।
Discussion about this post