বন্দর প্রতিনিধি :
নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য ও বন্দর উপজেলার ধামঘড় ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাছুম আহম্মেদের স্থাপন করা অবৈধ ব্যাটারি কারখানা পরিবেশ, মানুষ ও প্রাণীর জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। কারখানাটি স্থাপনের আগে পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট কোনো কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেওয়া হয়নি বলে গুঞ্জন রয়েছে।
যে স্থানে অবৈধভাবে কারখানাটি চলছে, সেটা কৃষি ও গোচারণভূমি, জলাশয় ও মানুষের বসতির মাঝেই অবস্থিত। কোনো ইটিপি ও এটিপি ছাড়াই উন্মুক্ত স্থানে ব্যাটারি গলানোর ফলে সিসাসহ দূষিত অন্যান্য বর্জ্য ছড়িয়ে আশপাশের ফসলি জমি ও পানিতে বিষক্রিয়া সৃষ্টি হচ্ছে। অবৈধ কারখানাটি চালানোর ফলে পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য ও বাস্তুসংস্থানের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। সেখানকার গরুর দুধ, জলাশয়ের মাছ কিংবা শাকসবজি খেলে জনস্বাস্থ্যে ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
মাছুম আহম্মেদ একজন জনপ্রতিনিধি ছিলেন এবং নব নির্বাচিত জেলা পরিষদের সদস্য। একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর একটা কারখানা স্থাপন এবং সিসা ও দূষিত বর্জ্যের বিষক্রিয়া কারখানা করা তার উচিৎ হয়েছে কি না ? এমন প্রশ্ন সচেতন মহলের।
অনেকেই বলেন, আমরা মনে করি, অবৈধ ক্ষতিকারক কারখানা যারা স্থাপন করে তাদের বিচারের আওতায় আনা উচিৎ।
২৬ ডিসেম্বর(সোমবার) বিকেলে উপজেলার ধামঘড় ইউনিয়নের কামতাল এলাকায় সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় বসতি ও কৃষি জমির পাশেই স্থাপন করা হয়েছে ব্যাটারি কারখানা যা মানুষ, প্রাণী ও কৃষি জমির জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
এব্যাপরে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলতে চাইলে তারা বলে, ভাই এ ব্যাপারে আমরা কিছু বলতে চাই না কারন আমাদের পরিবার নিয়ে এখানে বসবাস করতে হবে। আপনারা এসেছেন আপনারা নিজে চোখে দেখে যান আমরা কোন অবস্থায় বসবাস করি।
এব্যাপারে ব্যাটারি কারখানার মালিক নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য ও বন্দর উপজেলার ধামঘড় ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাছুম আহম্মেদের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্ঠা করা হলে তিনি ফোন গ্রহণ করেন নাই।
এব্যাপারে ধামগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন বলেন, আমার এলাকায় মানুষের ক্ষতি হবে এমন কোন পতিষ্ঠান থাকতে দেবো না। এলাকা থেকে আমার কাছে লিখিত অভিযোগ আসলে আমি ব্যবস্থা নিব।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো: মঞ্জুরুল হাফিজ বলেন, এধরনের ক্ষতিকারক কারখানার বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট চালিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হবে এবং মালিকদের বিরুদ্ধ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Discussion about this post