এবার শাক দিয়ে মাছ ঢাকার অপচেষ্টা করছেন নারায়ণগঞ্জে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নবীর হোসেন ও তার নিয়ন্ত্রিত একটি চক্র ।
এই নবীর হোসেনের বিষয়ে খোদ হাইওয়ে থানা পুলিশের সদস্যরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, “নবীর হোসেন হলেন কাঁচপুর হাইওয়ের থানার মালিক মহাজন ! এখানে কোন পেশাদরিত্ব নাই। তার কথার বাইরে কেউ কোন কথা বলতে পারেন না । তিনি কথায় কথায় বলেন, ‘প্রতি মাসে নিম্নে গাজিপুরের এক টেবিলেই দিতে হয় ১০ লাখ টাকা। কোন সাংবাদিক যদি এসপি অফিসে ফোন দেয় তাইলে ডিমান্ড আরো বেড়ে যায়।“
যেমন, গত শনিবার রাতে কোন একজন সাংবাদিক ফোন দিয়ে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি মো: নবীর হোসেনের অপেশাদারিত্ব ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ ঘটনার বিষয়ে হাইওয়ে পুলিশের পুলিশ সুপার (এসপি) মোস্তাফিজুর রহমান কে গাড়ি বিক্রির ঘটনার বিস্তারিত জানতে চান এবং এই গাড়ি বিক্রির অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাওয়ার পরেই এসপি ফোন করেন ওসি নবীর হোসেনকে ।
তাৎক্ষনিকভাবে এসপি মোস্তাফিজুর রহমান কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি মো: নবীর হোসেন কে ফোন করেন । এসপি মোস্তাফিজুর রহমান মুঠোফোনে জানতে চান, তুমি তো একটি গাড়ির কথা বলেছো ! এখন সাংবাদিকরা ২০ গাড়ি বিক্রি করেছো বলে অভিযোগ করছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদও প্রকাশ পেয়েছে । এ বিষয়ে তোমার মন্তব্য কি ?
এমন প্রশ্নের পর কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি মো: নবীর হোসেন মুঠোফোনেই পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমানকে জানান, সাংবাদিকরা নানা বিষয়ে নানা বিভ্রান্তি ছড়ায় বলেও নিজেকে সাধু সাজানোর অপচেষ্টা চালায় নবীন হোসেন। একই সাথে নানাভাবে আরো এমন ঘটনা ধামাচাপা দিতে অপচেষ্টা চালায়।
এসপি এবং ওসির মুঠোফোনে এমন আলোচনার পর ২০ গাড়ি বিক্রির অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠনের আভাস পাওয়া যায় গাজিপুরের পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে।
এমন আভাস পেয়ে আদাজল খেযে মাঠে নেমে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি মো: নবীর হোসেন নতুন নাটক মঞ্চায়নের অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র।
নাম প্রকাশ না করার বিশেষ অনুরোধে সূত্রটি আরো জানায়, প্রকৃতপক্ষে ২০গাড়ি রেজিস্টারে রয়েছে। যা আদালতের কোন অনুমতি ছাড়া কেটে বিক্রি করেছেন ওসি। বিক্রির বিষয়টি তদন্ত করলেই বেড়িয়ে আসবে ওসি মোঃ নবীর হোসেনের কুকর্মের ফিরিস্তি।
সূত্রটি মুঠোফোনে ১৪ মিনিট ৩২ সেকেন্ডের আলোচনায় আরো জানায়, হাইওয়ের এসপি অফিস কে ম্যানেজ করেই অপকর্ম করে যাচ্ছে এই নবীর হোসেন দিনের পর দিন। এই অপকর্ম হাসিল করতে কিছু বিশেষ পেশার কয়েকজনকে প্রতিমাসে মাসোয়ারাও দিয়ে থাকেন বলেই কোন অপকর্মের সংবাদ প্রকাশ পায় না। আর এই ২০ গাড়ি বিক্রির তথ্য তো খোদ লিটন খান স্বীকার করেছে সাংবাদিকদের বক্তব্য দিয়েছেন ।
লিটন খান সাংবাদিকদের জানান, “ভাই আমি পুলিশকে ভালোবেসে, ওসি নবী স্যারকে সহযোগীতা করেছি । তিনি কয় টাকা বেতন পান। এ ধরনের টুকিটাকি বিষয় করতে একটু সুযোগ দেন। এ নিউজ করা প্রয়োজন নেই ! তিনি অত্যন্ত একজন ভালো মানুষ। তাঁর এই কাজে আমি সহযোগীতা করাতে; আমাকে দুটি গাড়ি উপহার দিয়েছে বলে জানান তিনি।”
সূত্রটি আরো জানায়, মূলতঃ নারায়ণগঞ্জে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নবীর হোসেন ৪০ থেকে ৫০ টি অটো রিক্সা, সিএনজি ৫ টা, নসীমন ৫ টা, কভার্ডভ্যান ২টা, ট্রাক ২টা, বাস ২ টা এবং প্রাইভেট কার ১ টা গাড়ি কেটে বিক্রি করেছেন । স্বচ্ছতার সাথে রেজিস্টার যাচাই করলেই নবীর হোসেনের অপকর্ম বেড়িয়ে আসবে।
পুলিশ সুপার যদি আন্তরিক হন তাহলেই নবীর হোসেনের অপকর্ম বেড়িয়ে আসবে। নইলে ধামাচাপাই পরবে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি মো: নবীর হোসেনের এমন অপেশাদারিত্ব ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ কর্মকান্ড ।
Discussion about this post