মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী অভিভাবক ও শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘অনূর্ধ্ব-৬ বছর বয়স থেকেই শিশুদের আদর্শ, নৈতিকতার শিক্ষা দিতে হবে। মানুষকে ভালোবাসার উপর কিছু নাই। দেশ ও দেশের মানুষকে ভালোবাসতে শেখাতে হবে।’
বুধবার (১২ অক্টোবর) নগরভবনের সম্মেলন কক্ষে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এইসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত প্রাথমিক স্কুলপর্যায়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে নগরীর গোদনাইলের হলি উইলস স্কুল।
আইভী বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই দেশপ্রেম শেখাবেন। ছোটবেলা থেকে দেশপ্রেম তৈরি না হলে বড় হয়ে দেশের প্রতি মায়া থাকে না। আমি মনে করি, আমাদের দেশপ্রেমের অনেক অভাব রয়েছে। যার কারণে আমরা যা খুশি তাই করছি। অবলীলায় মিথ্যা বলছি, অন্যায় কাজ করছি। আমরা কতোক্ষণে ধনী হবো সেইটা নিয়ে পড়ে আছি। এইটা বাদ দিয়ে বাচ্চাদের নৈতিকতা শেখাতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘মানুষকে ভালোবাসার উপর কিছু নাই। যে মানুষকে ভালোবাসবে সে আল্লাহকে পাবে, সেই সৃষ্টিকর্তাকে পাবে। ভালোবাসার বিকল্প কিছু নাই। এইটা দিয়ে দেশ ও দেশের মানুষকে জয় করা যায়। যত্রতত্র নিজেকে বিকিয়ে দিলে চলবে না। এই মানসিকতা তৈরি করতে হবে।’
উপস্থিত শিশু শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আইভী বলেন, অভিভাবক ও শিক্ষকদের সম্মান করতে হবে। তিনি শিক্ষকদের প্রতি শিশুদের উপর পড়াশোনার বেশি চাপ না দেয়ারও অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, ‘কথার ছলে লেখাপড়া শেখাবেন। বাচ্চাদের খেলতে খেলতেই শেখাতে হয়। মুখস্ত না করিয়ে বাস্তব দিক উপস্থাপন করে লেখাপড়া শেখাবেন। মিথ্যা বলা থেকে বিরত থাকতে শেখাবেন।’
তিনি বলেন, ‘বাবা-মায়েরাও ফার্স্ট-সেকেন্ডের প্রতিযোগিতায় থাকেন। স্কুলে এসি আছে কিনা দেখেন। আগে পড়াশোনার পাশাপাশি আমরা আড্ডা দিয়েছি, খেলাধুলা করেছি। এখন প্রতিটা বাচ্চারে বাবা-মা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে দিয়ে এসি আছে কিনা সেইটা আগে নিশ্চিত করে। বাচ্চারা এখন একেবারে মুরগির বাচ্চার মতো বড় হচ্ছে। এতে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের অবস্থা খুবই খারাপ হচ্ছে।’
নাসিক মেয়র বলেন, ‘লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা করতে দিবেন, মাঠে দৌঁড়াদৌঁড়ি করতে দিবেন। মাঠ না থাকলে যতটুকু জায়গা আছে সেখানেই বিনোদনের ব্যবস্থা করে দেবেন। আনন্দের মধ্য দিয়ে লেখাপড়া শেখাতে হবে।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নাসিক কাউন্সিলর মতিউর রহমান, মিজানুর রহমান খান, মনোয়ারা বেগম, দৈনিক সংবাদের চীফ রিপোর্টার সালাম জুবায়ের প্রমুখ।
Discussion about this post