রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় কাঁচপুর ব্রীজে উল্টো পথে আসা অটো রিকশার সাথে মাইক্রেবাসের সংঘর্ষের মৃত্যু হয় পাঁচ যাত্রীর । হাইওয়ে পুলিশের এমন বাণিজ্যের কারণে ৫টি প্রাণ ঝড়লেও টনক নড়ে নাই হাইওয়ে পুলিশের । পাঁচ জনের প্রাণ ঝড়ে পরার মাত্র তিন দিনের মধ্যেই আবার ঝড়লো দুই জনের প্রাণ। আরো গুরুতর আহতদের পাঠানো হয়েছে ঢাকায়।
এমন ঘটনায় উপস্থিত অনেকেই বলেছেন, “হাইওয়ে পুলিশ কে ঘুষ না দিয়ে কোন পরিবহণ চলতে পারে না। হাইওয়েতে নিষিদ্ধ তিন চাকার সকল গাড়ি ছাড়াও প্রতিটি পরিবহণকেই গুনতে হয় চাঁদা । হাইওয়ের নিদ্দিষ্ট চাঁদা দিয়েই চাকা ঘুরতে হয় প্রতিটি ড্রাইভারকে।
টাকা দিয়ে হাইওয়েতে বন্ধ হয় নাই নিষিদ্ধ পরিবহণের দৌড়াত্ম । ফলে আবারো ঝললো দুই প্রাণ । এমন ঘটনায় নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নবীর হোসেন বলেছেন, খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেছে। একই সঙ্গে গাড়ি দুটি জব্দ করে ক্যাম্পে রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন
আড়াইহাজারে বন্ধন পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন।
বুধবার (১২ অক্টোবর) সকালে উপজেলার বান্টি বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে তাৎক্ষণিক হতাহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
নিহতরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাহেরচর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে দুলাল মিয়া (৫০) ও রূপগঞ্জের নাঈম মিয়ার ছেলে নাফিজ (১৮)। নাফিজ আড়াইহাজার সরকারি সফর আলী কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। তবে আহতদের নাম জানা যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, নারায়ণগঞ্জ শহর থেকে বন্ধন পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস নরসিংদীর ড্রিম হলিডে পার্ক যাচ্ছিলো এই বন্ধন পরিবহণ টি । পথে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাল্লা এলাকায় একটি সিএনজিচালিত অটো রিকশার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলেই অটোরিকশায় থাকা দুই যাত্রী নিহত হন। আহত হন চারজন। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
একদিকে বন্ধন পরিবহণের সিরাজ মিয়ার মালিকানাধীন এই পরিবহণটির যেমন কোন পারমিশন (অনুমুতি) ছিলো না চলাচলের তেমনি সিএনজি চালিত অটোরিক্সা একেবারেই নিষিদ্ধ। বন্ধন পরিবহণের ড্রাইভাবের কোন লাইসেন্স ছিলো না । একই সাথে ছিলো না এই পরিবহণটির কোন বৈধ কাগজপত্র। এই পরিবহণ গুলি নিয়মিত চাঁদা দিয়েই দাপড়িয়ে বেড়ায় হাইওয়েতে। আর ঘটায় দূর্ঘটনা। প্রতিনিয়তঃ এই অবৈধ পরিবহণের কারণেই ঝড়ে প্রাণ। এর জন্য পুরোপুরি দ্বায়ী হাইওয়ে পুলিশ। অভিযোগ রয়েছে হাইওয়ের গাজীপুরের এসপি কার্যালয়ে প্রতি মাসে একেক জন ইন্সপেক্টর ১০ লাখ টাকা করে চাঁদা দিতে হয় এসপি কার্যালয়ে । এমন অভিযোগ চাউর রযেছে নারায়ণগঞ্জের হাইওয়ে পুলিশের মাঝে ।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক হাওলাদার নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট কে বলেন, নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এই বিষয়টি হাইওয়ে পুলিশ দেখতেছে । হাইওয়ে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে।
Discussion about this post