মহাসড়কে অটো রিকশা কিংবা তিন চাকার যে কোন পরিবহণ নিষিদ্ধ থাকলেও হাইওয়ে পুলিশের সাথে চুক্তি মোতাবেক টোকেন নিয়ে এমন নিয়ম ভেঙ্গে চলাচলের কারণে নিষিদ্ধ পরিবহ । আর এই কারণে প্রতিনিয়তঃই বাড়ছে দূর্ঘটনা। একই সাথে হাইওয়ে পুলিশকে মাসোয়ারা দিয়েই সড়কের পাশেই গড়ে উঠেছে বাজার, দোকানসহ বেচাকেনার অবৈধ হাট । এমন হাট থেকেই প্রতিদিন এবং প্রতি মাস হিসেবে মাসোয়ারা আদায় করছে হাইওয়ের অসাধু কর্মকর্তা ও ক্যাশিয়ার খ্যাত পুলিশ সদস্যরা । আর এমন অনিয়মের কারণেই ঘটেছে দূর্ঘটনা। পাচ জনের এমন মৃত্যুর ঘটনার দায় নিবে কে ? কাঁচপুর হাইওয়ের পুলিশের এমন চাঁদাবাজির সাথে যুক্ত দায়ীদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষনিকভাবেই অনেকেই ব্যবস্থা নেয়ার দাবী করেছে
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে চার জন মৃত্যুর পর আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে । এতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে ৫ । এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন।
রোববার (৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হলে একজন মারা যান।
আহতদের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হলে অটোরিকশার এক যাত্রী মদনপুরের আল-বারাকা হাসপাতালে মারা যান। পরে আহত ছয়-সাতজনকে সিদ্ধিরগঞ্জের প্রো-অ্যাকটিভ হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। সেখানে আরও চারজনের মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর এলাকার শামসুদ্দিন খন্দকারের ছেলে নুর উদ্দীন (৪৫), অটোরিকশা চালক হানিফ (৩৭), যাত্রী মামুন (৩০), জামাল মিয়া (৪২) এবং অজ্ঞাত পরিচয়ের একজন।
আহতদের হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী ওমর ফারুক নামে এক ব্যক্তি জানান, কাঁচপুর ব্রিজে উল্টো পথে যাচ্ছিল ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাটি। তাতে ৭ থেকে ৮ জন যাত্রী ছিল। তখন ঢাকাগামী একটি মাইক্রোবাস অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। এতে অটোতে থাকা সবাই আহত হয়। কয়েকজনকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আর বাকি ৪ জনকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়। এদের মধ্যে ৩ জনকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জামাল মিয়া বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মারা গেছেন। এনিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪ জন এঘটনায় মারা গেছে। সকলের মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।
নিহত মামুনের ছোট ভাই নাইমুল ইসলাম সুমন জানান, তাঁদের বাড়ি ঝালকাঠি সদর উপজেলায়। পরিবার নিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ আদমজী এলাকায় থাকতেন মামুন। স্থানীয় একটি গার্মেন্টসে কাজ করতেন। সকালে মামুন একাই তার বাসা থেকে কাচপুরে ছোট ভাইয়ের বাসায় যাচ্ছিলেন। পথে দুর্ঘটনা শিকার হন।
অটোচালক আবু হানিফের ছোট ভাই মো. রতন জানান, তাঁদের বাড়ি কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার পাটুলি গ্রামে। যাত্রাবাড়ী থানার পাশের এলাকায় থাকেন তারা। ব্যাটারিচালিত অটো চালাইতো হানিফ।
নারায়ণগঞ্জ কাঁচপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নবী হোসেন জানান, কাঁচপুর ব্রিজে উল্টো পথে আসা একটি অটোরিকশাকে একটি মাইক্রোবাস ধাক্কা দেয়। এতে স্থানীয় হাসপাতালে নুর উদ্দিন (৪৫) নামে এক ব্যক্তি ও ঢাকা মেডিকেলে চারজন মারা যান। এই ঘটনায় ৬ থেকে ৭ জন আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ঘটনার পরপরই মাইক্রোবাস ও অটোরিকশাটি জব্দ করা হয়েছে। তবে মাইক্রোবাস চালক পালিয়ে গেছে।
এমন দূর্ঘটনার দৃশ্য দেখে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা হাইওয়ে পুলিশের বিষেধাগার করে নানা মন্তব্য করতে দেখা গেছে। হাইওয়েতে এই হতাহতের ঘটনায় হাইওয়ে পুলিশ দায়ী বলেও মন্তব্য করেছেন অনেকেই ।
Discussion about this post