নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় সাড়ে ১৮ মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে প্যারাডাইজ কেবলসের ৩০০ শ্রমিক ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড বন্ধ করে দেড় ঘণ্টা বিক্ষোভ করেছেন।
মঙ্গলবার বিকাল ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ফতুল্লার শিবু মার্কেট এলাকায় এ বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা। এরপর পুলিশ এসে তাদের বকেয়া বেতন আদায় করার আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা সড়ক ছেড়ে দেন।
প্যারাডাইজ কেবলসটি ফতুল্লার কুতুবআইল এলাকায়। কয়েক মাস যাবত এ কারখানায় শ্রমিকদের বিক্ষোভ চলে আসছে। এর মধ্যে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে তারা একাধিক স্মারকলিপিও দিয়েছেন।
শ্রমিকদের নেতৃত্ব দেওয়া বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন জানান, প্যারাডাইজে ৩০০ শ্রমিক কাজ করেন। শ্রমিকদের ৫ দফা দাবির মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো বকেয়া বেতন। সাড়ে ১৮ মাস যাবত বেতন দিচ্ছে না মালিক পক্ষ। বকেয়া আদায়ে জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপারসহ অনেক দপ্তরে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। এতে কোনো দপ্তর থেকে সহযোগিতা না পেয়ে শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করতে বাধ্য হয়েছে। দেড় ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করায় প্রশাসনের লোকজন এসে বকেয়া বেতন পরিশোধের ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেন। এরপর শ্রমিকরা যে যার মতো চলে যান।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ রিজাউল হক জানান, বকেয়া বতেন পরিশোধের জন্য মালিক-শ্রমিক উভয়পক্ষকে সহযোগিতা করা হবে। বিষয়টি শ্রমিকদের বুঝিয়ে বললে তারা সড়ক ছেড়ে দেন।
এমন আন্দোলনের বিষয়ে অনেক শ্রমিকরাই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই প্যারাডাইস ক্যাবলসের চার ভাই মোবারক হোসেন, মোশারফ হোসেন, মজিবুর রহমান, মনিয়ার হোসেন ব্যবসার কথা বলে ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি টাকা লোন নিয়ে ওই টাকা পাচার করে আমেরিকা ও কানাডার বেগম পাড়ায় বিশাল বাড়ি করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়। এদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলায় ওয়ারেন্ট থাকলেও তারা আইনশৃংখলা বাহিনীর অসাধু কর্মকর্তাদের সাথে আঁতাত করে দেশে আসে আবার গোপনে পালিয়েও যায়। এভাবেই এই প্যারাডাইস ক্যাবলস কর্তৃপক্ষ নারায়ণগঞ্জের একজন আটখুইরা সাংবাদিক নেতা, গোয়েন্দা সংস্থার একজন শীর্ষ কর্মকর্তার মাধ্যমে শ্রমিকদের এই বিশাল টাকা না দিয়ে উল্টো সন্ত্রাসী সাহাদাৎ ও ফাইজুলকে দিয়ে শ্রমিকদের দমিয়ে রাখার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে । এভাবে বছরের পর বছর ব্যাংকের শত শত কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে শ্রমিকদের সাথে তামাশা করে যাচ্ছে।
Discussion about this post