রূপগঞ্জ প্রতিনিধি :
রূপগঞ্জে কারখানার ভিতরে শ্রমিকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে রূপগঞ্জ উপজেলার সাওঘাট কাতরারচক এলাকার মিতা ডাইং কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
কারখানা কর্তৃপক্ষ লাশ ময়না তদন্ত ছাড়াই তড়িঘড়ি করে দেশে পাঠিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় কারখানার শ্রমিকদের মাঝে আতংক বিরাজ করছে।
নিহত শ্রমিকের নাম সুইথিউস (১৮)। সে খ্রিষ্টান পরিবারের সন্তান। তার পিতার নাম মন্ত্রি জিও। সে দিনাজপুর জেলার চরবান্ডি গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে সে পরিবার নিয়ে রূপগঞ্জ উপজেলার সাওঘাট নুরু ভূইয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকে। সে মিতা ডাইং নামের একটি কারখানায় ডাইং হেলপার হিসেবে চাকুরী করে আসছিল।
নিহতের বোন জামাই হরিনাম জানান, প্রতিদিনের মতো কাজে যোগ দিতে সে কারখানায় আসে। আমার শ্যালক আর আমি এক সাথেই কাজ করি। রাত ১২টায় সুইথিউস আমাকে বলে তার শরীর খারাপ লাগছে। পরে তাকে বললাম তুমি বিশ্রাম নেও। এরপর শুনি সে মারা গেছে।
নিহতের মা গোলাপী বলেন, আমার ছেলেকে রাতে খাইয়ে কারখানায় পাঠিয়েছি। সকালে শুনি সে মারা গেছে। এটা কিভাবে হলো। আমি বিশ্বাস করতে পারছিনা। আমার ছেলেকে মেরে ফেলা হয়েছে। এসব বলতে বলতে তার মা বারবার মূর্ছে যান।
কারখানার একাউন্টস অফিসার গোলাম মর্তূজা পাশা জানান, সুইথিউস আমাদের কারখানায় ডাইং হেলপার হিসেবে চাকুরী করত। গতকাল রাতে সে গাঁজা সেবন করে প্রবেশ করে। এতেই তার মৃত্যু হয় বলে জানান গোলাম মর্তুজা পাশা।
কারখানার ম্যানেজার আলতাফ হোসেন জানান, শুনেছি রাতেই সে মারা গেছে। সকালে তার লাশ দেশের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে ।
শ্রমিকের রহস্যজনক এমন মৃত্যুর ঘটনা ছাড়াও এই মিতা ডাইংয়ের বিরুদ্ধে রয়েছে গ্যাস ও বিদ্যুৎ চুরির মহোৎসব চালানোর অভিযোগ । রয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তরকে নিয়মিত মাসোয়ার দিয়ে ক্যামিকেল বর্জ্য দিয়ে পুরো এলাকার বিশাল ক্ষতি সাধন কারর গুরুতর অভিযোগও। মোটা অংকের মাসোয়ারা রূপগঞ্জ থানায় ও ভূলতা পুলিশ ফাঁড়িতে প্রতি মাসে মিতা ডাইং থেকে নিয়মিত প্রদান করায় পুলিশসহ আইনশৃংখলা বাহিনী ম্যানেজে মহাপটু মিতা ডাইং কর্তপক্ষ । যতই অপকর্ম ঘটুক আর যতই আন্দোলন হউক রূপগঞ্জবাসীর মতে পুলিশ সদা প্রস্তুত থাকে অসাধু মিতা ডাইংয়ের পক্ষেই ।
Discussion about this post