বন্দরে সড়কের পাশে অটো রিকশাচালকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের কান্দিপাড়া এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহতের নাম ফেরদৌস (২১)। তিনি শুভকরদি এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সকালে গলাকাটা অবস্থায় ফেরদৌসের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গেছে।
নিহতের চাচা মো. মাসুদ বলেন, রোববার সন্ধ্যার পর মিশুক নিয়ে বের হয় ফেরদৌস। রাত নয়টায় পরিবারের লোকজনের সাথে মুঠোফোনে সর্বশেষ কথা হয়। এরপর আর বাড়ি ফেরেনি। রাত বারোটার পর থেকে মুঠোফোনের নম্বরে কল করে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। কোথায়ও খোঁজ না পেয়ে ওই রাতেই থানায় যায় পরিবারের লোকজন। সকালে লাশের খবর পান তারা।
পরিবারের লোকজন জানান, তিন ভাইবোনের মধ্যে ফেরদৌস বড় ছিল। বাবা একসময় বন্দরের সেন্ট্রাল খেয়াঘাটে নৌকা চালালেও গত দুই বছর যাবৎ কলাগাছিয়া বাজারে পিঠা বিক্রি করেন। পরিবারের আর্থিক পরিস্থিতিতে সৌদি যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল ফেরদৌসের।
চাচা মাসুদ বলেন, “পাসপোর্ট ও ভিসাও হয়ে গেছিল। মাসখানেক মধ্যে সৌদি যাওয়ার কথা। দেশে বেকার বইসা থাকবো এই চিন্তা কইরা তিন-চার মাস যাবৎ ভাড়ায় মিশুক চালাইতো। এর মইধ্যেই লাশ হইয়া গেল, বিদেশ যাওয়া আর হইলো না।”
একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে পাগলপ্রায় ফেরদৌসের মা রুনা বেগম। পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন ঘিরে থাকার কারণে ছেলের লাশ দেখতে পাচ্ছিলেন না তিনি। বুক চাপড়ে কাঁদতে কাঁদতে রুনা বলেন, “আমি চউখ্যে কিছু দেখতাছি না। আমার কালামানিকরে দেখতে পারতেছি না। আমার কালামানিকরে দেখতে দেও। আল্লাহ আমার কালামানিকরে ফিরাইয়া দেও।”
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহে জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে।
Discussion about this post