স্বামী কিংবা স্ত্রীর কোন আত্মীয় স্বজন ছাড়াই দাফন হলো স্বামী রবিউল ইসলাম (৩০) ও স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা (৪০)-এর লাশ । রোববার সন্ধ্যায় জেনারেল হাসপাতালের মর্গ থেকে লাশ নিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে সিদ্ধিরগঞ্জের কবরস্থানে স্বামী ও স্ত্রীর মরদেহ দাফন করা হয় । এ ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জে স্বামী-স্ত্রীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে ।
এমনটি ই নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট কে জানিয়েছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এ কে এম মনজুরুল ইসলাম । মনজুরুল ইসলাম বাদী হয়ে শনিবার রাতে মামলাটি দায়ের করেন বলে নিশ্চিত করেন।
পুলিশ সুত্রে জানা যায়, পারিবারিক সমস্যার কারণে তারা নিজেরাই আত্মহত্যা করেছেন এবং মৃত্যুর পর তাদের উভয়কে একই সাথে কবর দেয়ার আবেদন জানিয়ে একটি চিরকুট লিখে রাখেন তারা। সেই চিরকুট উদ্ধার করেছেন পুলিশ। পুলিশের ধারণা তারা উভয়ে বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন।
এদিকে ১০ সেপ্টেম্বর বিকালে পাইনাদী সিআই খোলা এলাকার উক্ত বাড়ির ভাড়াটিয়ারা গন্ধ পেলে বাড়ির মালিক শাহাদাৎ হোসেকে বিষয়টি জানান। অতঃপর বাড়ির মালিক শাহাদাৎ হোসেন পুলিশকে ফোন করে বিষয়টি জানালে পুলিশ এসে স্বামী রবিউল ইসলাম (৩০) ও স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা (৪০)-এর লাশ উদ্ধার করে।
শনিবার বিকেলে ভবনের দরজা বন্ধ থাকায় দরজাটি ভেঙ্গে বাসার ভেতর থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মশিউর রহমান জানান, এ ঘটনায় আমরা একটি অপমৃত্যু মামলা নিয়েছি। ধারণা করা হচ্ছে তারা বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে আসল ঘটনা বুঝা যাবে।
নিহত স্বামী রবিউল ইসলাম নীলফামারী জেলার সদর থানার সরদারপাড়া কানিয়ালখাতা এলাকার আবু তালেবের ছেলে। নিহত স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা বান্দরবান জেলার সদর থানার নিউগুলাশন হাসপাতাল এলাকার অনীল দাশের মেয়ে।
ওসি আরও বলেন, নীলফামারী জেলার ৯নং ইটাখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ হেদায়েত উদ্দিনের মাধ্যমে স্বজনদের সাথে আমরা যোগাযোগ করলে নিহতদের লাশ নেওয়ার জন্য। কিন্তু নিহতদের কোন স্বজন আমাদের সাথে লাশ নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করেনি ।
Discussion about this post