খোজ নিয়ে এবং একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে জানা যায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) জাহেদ পারভেজ অত্যান্ত সৎ ব্যক্তি । কোন ধরণের কেলেংকারীতে তাকে পাওয়া যাবে না । ট্রাাফিক পুলিশের দায়িত্ব গ্রহণের পূর্বে জাহেদ পারভেজ জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের দায়িত্ব পালন করেছেন অত্যান্ত সুণামের সাথে।
ডিবি পুলিশের ক্যাশিয়ার নূরুল ইসলাম ওরফে নূরু ক্যাশিয়ারসহ অসংখ্য ক্যশিয়ারদের মামলা দিয়ে জেলে পাঠিয়েছেন কোন ধরণের অন্যায়ের সাথে আপোস না করে । কোন অবস্থাতেই ডিবি পুলিশের বিশাল অপকর্মের সাথে যুক্ত কারতে পারে নাই অনেক কর্মকর্তরা। নীতিতে অটল থাকার কারণে অনেক কর্মকর্তাদের চক্ষুশূলে পরিণত হয়েছেন এই জাহিদ পারভেজ । এরপরেও নীতি থেকে টলাতে পারেন ই কেউ ।
ট্রাফিক পুলিশের র্যাকারম্যানদের বিশাল চাঁদাবাজিতেও নানা কারণে নিশ্চুপ থাকতে হয় এই একরোখা পুলিশ কর্মকর্তা জাহিদ পারভেজ কে। এমন সৎ পুলিশ কর্মকর্তার নজরে সায়মন নামের মহা প্রতারকের অপকর্ম ধরা পরার পর সাড়াসি অভিযান চলছে সর্বত্র । (এমন মন্তব্য একজন পুলিশ কর্মকর্তার)
হাজারো চেষ্টা করেও এখন খুজে পাওয়া যাচ্ছ না সেনা বাহিনীর সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট (অবঃ) হিসেবে পবিচয় প্রদানকারী সায়মন ইসলাম কে।
নারায়ণগঞ্জ মহানগরীতে পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে এবং নিজেকে সাংবাদিক / মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং বিভিন্ন সংগঠনের নাম ব্যবহার করাসহ সেনাবাহিনীর সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট পরিচয় দিয়ে ৫ শতাধিক অটো রিক্সা / ব্যাটারী চালিতে রিক্সা থেকে নিয়মিত চাঁদাবাজি করে আসছিলো এই সায়মন। এমন সংবাদ প্রকাশের পর গা-ঢাকা দিয়েছেন এই মহা প্রতারক ।
সায়মনের বিশাল এই চাঁদাবাজির সংবাদ প্রকাশের পর এই সায়মনের নামে এবং মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড সংগঠনের ব্যানার ব্যবহার করে নারায়ণগঞ্জ মহানগরীতে ষ্টিকার সাঁটিয়ে যে সকল অটো রিক্সা / ব্যাটারী চালিত রিক্সা / ইজি বাইক / মিশুক আটক শুরু করেছে ট্রাফিক পুলিশ । গত কয়েক দিনে প্রায় অর্ধশতাধিক সায়মনের ষ্টিকারে পরিচালিত এমন রিক্সা আটকের পর অটো চালক আসাদ, জামান, মোকলেস, সোলায়মানসহ আরো কয়েকজন কথিত সাংবাদিক ও সেনা কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দানবকারী চাঁদাবাজ সায়মনকে খুজতে শুরু করে। সায়মনের ষ্টিকারে পরিচালিত এই প্রতারক সায়মনের খোজে অনেক অটো ড্রাইভার চাষাড়া চত্তরের মনার চায়ের দোকানে ধর্ণা দিতেও দেখা গেছে। কারণ হিসেবে সায়মন বলে বেড়াতো, “আমাকে সব সময় এই মনার চায়ের দোকানেই পাওয়া যাবে ।”
ট্রাফিক পুলিশ কর্তৃক অটো আটকের পর সায়মনের মহাপ্রতারক খোজে মনার চায়ের দোকানে কথা হয় অটো চালক সোলায়মানের সাথে । তার অটো ফতুল্রা এলাকার । এই অটো শহরে ট্রাফিক পুলিশের বিনা বাধায় চলাচল করতে ২ বছর যাবৎ প্রতি মাসে ১৫০০ টাকা দিয়ে আসছে সায়মনের কাছে । এই সায়মন এখন তার ফোনও ধরছে না । খুঁজেও পাচ্ছি না বলে জানায় সোলায়মান ।
এমন ঘটনার বিষয়ে ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট শফিউল শোভন নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট কে বলেন, এ পর্যন্ত এই সায়মনের নামে পরিচালিত ৩০/৪০ টি অটো / মিশুক/ ব্যাটারী চালিত রিক্সা আটক করা হয়েছে । এই অটো রিক্সা আটক করা হলেও সায়মন কে আর দেখা যায় নাই। তাকে খুঁজেও পাওয়া যাচ্ছে না।
সায়মনের এমন অপরাধ কর্মকান্ডের বিষয়ে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছেন । সাময়ন একদিকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে চালাচ্ছে বিশাল চাঁদাবাজি ।
অপরদিকে সেনা বাহিনী থেকে ৯৫ সাথে সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট হিসেবে অবসর নিয়ে এখন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড সংগঠনের নাম ব্যবহার করে নানান ব্যবসা করছে বলে প্রচার করলেও মূলতঃ এই সায়মন একজন মহা প্রতারক বলে জানিয়েছেন ফতুল্লার অনেকেই ।
মহা প্রতারক সায়মনের বাড়ি বরিশাল । ছোট বেলা থেকেই প্রতারনায় মহাপটু সায়মন। ফতুল্লায় আবুল হাজির বাড়ি ভাড়া থাকতো এই সায়মনের পরিবার । এরপর ফতুল্লার সর্দার বাড়ির হাবিবুর রহামানের মেয়ে এবং জুয়েল, মিলন ও রুবেলে বোন জলিকে বিয়ে করে এই সায়মন নিজেকে প্রচার করতো সে ফতুল্লার স্থানীয় বাসিন্দা এবং সেনা কর্মকর্তা।
Discussion about this post