“চার দলীয় জোট সরকারের ভ্রান্তনীতির কারণে আমাদের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং নৌ পরিবহন ব্যবস্থা এটা অত্যন্ত দূর্বল হয়ে পড়েছিল। এই দুইটি যোগাযোগ ব্যবস্থাকে বর্তমান সরকার অগ্রাধিকার দিয়ে উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করে এসেছে।”
এভাবেই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে দৃঢতার সাথে পথ চলতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন ।
এসময় নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আমরা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একই ছাতার নিচে কাজ করছি। এখানে আলাদা কোনো বিষয় না। সব মন্ত্রণালয় একসাথে কাজ করছে দেশ ও জনগণের স্বার্থে। রেলপথ মন্ত্রী বলেছেন, ভ্রান্ত নীতির কারণে দেশ অনেক পিছিয়ে গেছে। আমরা যে জায়গা থেকে দেশটাকে বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলার পথে নিয়ে যাচ্ছি ।“
সোমবার (১৩ জুন) বেলা সাড়ে ১১ টায় নারায়ণগঞ্জ রেলস্টেশন সরেজমিনে পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, নারায়ণগঞ্জ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গা। এটা বাংলাদেশের অন্যতম নদী বন্দর এবং একই সঙ্গে ব্যবসায়িক এলাকা। ইতোমধ্যে সরকার একটি সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করছে। সেক্ষেত্রে ঢাকা-নারায়গঞ্জে মিটার গেজ থেকে ডুয়েলগেজে রেল লাইন হচ্ছে। এই ডুয়েল গেজ প্রকল্প চলমান রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, নৌ পরিবহণের নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রিক অনেকগুলো প্রকল্প চলমান রয়েছে। সড়ক জনপথেরও অনেক প্রকল্প রয়েছে। সিটি কর্পোরেশনের অনেকগুলো প্রকল্প রয়েছে। এই উন্নয়ন প্রকল্পগুলো সমন্বিতভাবে যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারে সরেজমিনে পরির্দশন করে নির্দেশনা দিয়েছি। এটাই আমাদের উদ্দেশ্য।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৫ অক্টোবর শীতলক্ষ্যার পশ্চিম তীরে নারায়ণগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় ১১ টি সীমানা পিলার স্থাপনে রেলওয়ের (জিআরপি) পুলিশ বাধা দিলে বিআইডব্লিউটিএ ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। ৬ অক্টোবর নতুন সীমানা পিলার স্থাপনের কার্যক্রমে বাধা দিতে গিয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র একটি মসজিদের মেহরাব (মিম্বার) ভাঙ্গার অভিযোগ উঠে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এসময় বেশ কিছু গাছ ভেঙ্গে ফেলাসহ একটি সীমানা পিলারের জন্য খননকৃত গর্ত ভরাট করে ফেলা হয়। এছাড়া বেশ কিছু পিলার ভেঙ্গে রডও কেটে পিলারগুলো ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে বলে গুরুত্বর অভিযোগ উঠে। সেই বিরোধের সূত্র ধরে কয়েকদিন পরপরই তাদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল। সেই বিরোধ নিস্পত্তির লক্ষ্যে রেলওয়ে ও নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে একটি আন্ত:মন্ত্রনালয়ের কমিটিও গঠন করা হয়েছিল।
নারায়ণগঞ্জ রেলস্টেশন ও বিআইডব্লিউটিএর মধ্যকার সীমানা পিলারের বিরোধ নিস্পত্তির লক্ষ্যে তারা এই পরিদর্শনে আসেন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ডুয়েলগেজ লাইন নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ সেলিম রওফ, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. মঞ্জুরুল হাফিজ, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল আমিন, বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরেরর যুগ্ম পরিচালক মাসুদ কামাল সহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
Discussion about this post