প্রতিদিন ভোরে ট্রাফিক পুলিশের তেমন কোন ডিউটি না থাকলেও নগরীর রেকারের দায়িত্বে থাকা এটিএসআই হাসান ও তার নিজস্ব বাহিনীর দৌড়াত্ম ভোর থেকেই চলছেই অবিরাম গতিতে। কাকডাকা ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত নগরীর ২নং রেল গেইট এলাকায় অবৈধ ট্যান্ডের বিরুদ্ধে খোদ মেয়র ডাঃ সেলিনা হায়াৎ আইভী দাঁড়িয়ে থেকে বন্ধ করতে নির্দেশ দিলেও তা আজো কার্যকর হয় নাই । অথচ উর্ধতন কর্মকর্তাদের দোহাই দিয়ে রেকার বাণিজ্যের নামে এটিএসআই হাসানের বানিজ্য চলছে মারাত্মক আকারে।
হাসানের এমন দৌড়াত্মের কারণে হাজার হাজার অটো রিক্সা প্রতি মাসে মাসোয়ারা দিয়েই চলছে নগরীতে । আর যে সকল অটো রিক্সা মাসোয়ারার তালিকায় নাম নাই তাদেরকে আটক করে প্রথমে বাণিজ্যের তালিকায় নাম লিখিয়ে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে অটো ছাড়িয়ে নিয়ে পরবর্তীতে মাস শেষে মাসোরারা দিয়েই চলতে হবে অবৈধ এই অটো
এমন কান্ডের তথ্য জানতে গেলে উল্টো এটিএসআই এই প্রতিবেদক হুমকি দিতেও কালক্ষেপন করেন নাই । প্রেসক্লাবের কয়েকজন নেতার দোহাই ছাড়াও উর্ধতন কর্মকর্তাদের দোহাই দিতেও ভূল করেন নাই এটিএসআই হাসান ।
ঘটনাটি ঘটে আজ বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) ভোরে । নগরীর বাবুরাইল জিমাখানা এলাকায় পুলিশ পরিচয় দানকারী হাসানের কয়েকজন সহযোগির এমন অটো আটকের ঘটনার ছবি তোলার সময় তেড়ে আসে হাসান ও তার সহযোগিরা। প্রতিবেদক কে দেয় হুমকি । হাসান ও তার বাহিনীর এমন অটো আটকের ছবি তুললে একই সাথে গণমাধ্যমকর্মীদের ছবি তোলার ঘটনাও ঘটিয়ে বলেন, “আপনাকে আমি দেখে নেবো ।”
জানা যায়, সারা বছর জুড়ে নারায়ণগঞ্জ শহরের সর্বত্র ট্রাফিক পুলিশের অসাধু কয়েকজন সদস্যকে নিয়মিত মাসোয়ারা দিয়ে অবৈধ অটো রিক্সা নগরীতে যানজটের সৃষ্টি করলেও জনভোগান্তি নিয়ন্ত্রণে তেমন কোন উদ্দ্যোগ দেখা যায় নাই কর্তৃপক্ষের । এই রমজান মাসকে সামনে রেখে নগরীর প্রধান সড়কে অটো রিক্সা বন্ধের নির্দেশ দেয়ার পর উম্মাদ হয়ে উটেছে ট্রাফিক পুলিশের রেকার ম্যানখ্যাত এটিএসআই হাসান। বিভিন্ন অলিগলিতে চলাচলরত অটো রিক্সা আটক করে বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়তঃ ।
ঈদেরপূর্ব পর্যন্ত রমাজান মাসে নগরীর প্রধান প্রধান সড়কে যানজট নিয়ন্ত্রণে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের কর্মকর্তাগণ কঠোর নির্দেশ প্রদান করেন । এমন আদেশের পর পুরো নগরীতে বিশেষ ব্যবস্থায় অবৈধ অটো রিক্সা নিয়ন্ত্রণে আসায় ট্রাফিক পুলিশের তার নিজস্ব কয়েকজন বাহিনীকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে নগরীর অলিগলিতে এটিএআই হাসান প্রতিদিন কাকডাকা ভোরে বিশেষ অভিযানের নামে অটো রিক্সা আটকের পর ২ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা বাণিজ্য করেই যাচ্ছে ।
প্রতিদিন ভোরে শতাধিক অটো আটকের পর চাসাড়া নিয়ে এসে এমন বাণিজ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই উর্ধতন কর্মকর্তাদের দোহাই দিয়ে তাদের সাথে কথা বলতে বলেন।
এমন প্রকাশ্যে অটো রিক্সা থেকে চাঁদাবাজির ঘটনায় দম্ভাকারে এটিএসআই হাসানকে যে কেউ প্রশ্ন করলেই বলেন, “আমি কি এই টাকা একা খাই নাকি ? সরকারের রাজস্ব খাতে ব্যাংকে জমা দেই । উর্ধতন কর্মকর্তাদের দেই,, সাংবাদিকদের দেই ! আর সাংবাদিকদের মাস শেষে মাসোয়ারা ছাড়াও তাদের নামে, অনেক অটো চললেও সেই অটোরিক্সা আমরা আটক করি না । এরজন্য ই তো কোন অভিযোগ নাই আমাদের বিরুদ্ধে। এরপর আমার কিছু পোলাপাইন আছে তাদের দিয়ে যা থকে তা আমি নেই।”
বিস্তারিত আসছে ………………
Discussion about this post