যে কোন মূল্যে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (নাসিক) থেকে চিকিৎসক সেলিনা হায়াৎ আইভীকে মাইনাস করতে একটি চিহ্নিত শক্তিশালী চক্র আদাজল খেয়ে প্রায় এক বছর যাবৎ নানাভাবে চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে। নানা প্রপাগান্ডা, নানা অভিযোগ, হিন্দু, মুসলিমসহ নানাভাবে দাঙ্গা বাধানোর অপচেষ্টা করে প্রাণপণ অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিলো নগরীর ওই চক্রটি।
প্রথমে আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন যাতে না পান সে লক্ষ্যে চালিয়েছে নোঙড়া অপতৎপড়তা, পরবর্তীতে কিছু মূখপাত্রের সহায়তায় প্রপাগান্ডার পর প্রপাগান্ডা করেও ক্ষান্ত হয় নাই চক্রটি ।
১৬ জানুয়ারীর নাসিক নির্বাচনকে সামনে রেখে একের পর এক নাটকীয়তা। বিএনপির নেতা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার ভয় ভীতি ও অর্থের লোভ দেখিয়ে দল থেকে বিতারিত করে এক ডিলে কয়েকটি পাখি মারার চেষ্ট করেও চুনকা কন্যা অপ্রতিরোধ্য আইভীকে ঠেকাতে পারেনি হিংসায় মরিয়া ওই চক্রটি ।
শেষ পর্যন্ত ১৬ জানুয়ারী নাসিক নির্বাচনে বিশাল ভোটের ব্যবধানে হাতী প্রতীকের ওসমান পরিবারের প্রার্থীকে পরাজিত করে নগরীর ওই চক্রটির মুখে চুনকালি মেখে জনতার নেত্রী চিকিৎসক সেলিনা হায়াৎ আইভী নাসিক চেয়ারে আবারো বসতে যাচ্ছেনআগামী ৯ ফেব্রুয়ারী বুধবার ।
এমন খবরেও মনোকষ্টে অনেকেই আবারো নানাভাবে অপরাজনীতি চালিয়েই যাচ্ছে বলে চাউর রয়েছে নগরীতে
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের (নাসিক) নবনির্বাচিত মেয়র ও ৩৬ জন কাউন্সিলর আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি শপথ নেবেন। শপথ গ্রহণের জন্য ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে উপস্থিত হবেন টানা তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত সিটি মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী ও কাউন্সিলরবৃন্দ। শপথ অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানা যায়। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় শুরু হবে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। করোনা বিধিনিষেধের কারণে এইবার সরাসরি শপথ অনুষ্ঠানে থাকছেন না প্রধানমন্ত্রী ।
গত ১৬ জানুয়ারি নাসিকের ২৭টি ওয়ার্ডের ১৯২টি কেন্দ্রে একযোগে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটি কেন্দ্রে এইবার ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। এই নির্বাচনে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে প্রায় ৬৭ হাজার ভোটের ব্যবধানে তৃতীয়বারের মতো সিটি মেয়র নির্বাচিত হন ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। এছাড়া ২৭টি ওয়ার্ডে ২৭ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৯ জন নির্বাচিত হন। গত ২৭ জানুয়ারি এই নির্বাচনের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।
Discussion about this post