কথায় আছে, “বাতির নীচেই অন্ধকার, এমনটাই প্রমাণ হলো শহরের কালীর বাজার স্বর্ণপট্টির কারখানায় দূর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ।”
নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
শহরের কালীরবাজারে আবারো দূর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে । রোববার দিবাগত রাতের কোন এক সময়ে সখিনা মঞ্জিলের পিছনের দেয়াল ভেঙ্গে পাকা কারখানার সিন্দুক কেটে প্রায় আড়াইশত ভরি রূপা ও নগদ ২০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায় অজ্ঞাত চোরেরা ।
এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সদর থানা পুলিশ এক মাদকসেবীকে গ্রেফতার করেছে ।
সোমবার ১৪ অক্টোবর সকালে এমন দূর্ধর্ষ চুরির খবর পেয়ে পাকা কারখানার মালিক হাজী আল আমিন প্রতিষ্টানে উপস্থিত হয়ে দেখতে পান কারখানার পিছনের দেয়াল ও সিন্দুক ভাঙ্গা । তছনছ করা পুরো কারখানা । এমন ঘটনায় পুলিশকে অবহিত করার পর দারোগা সিহাব উদ্দিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আটক করা হয় এক মাদক সেবীকে।
এমন ঘটনায় অন্যান্য স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা জানান, এই কারখানায় মূলত স্বর্ণ ও রূপা গলানোর কাজ করা হয়ে থাকে । স্বর্ণলংকার পুনরায় তৈরীর ক্ষেত্রে পুরাতন স্বর্ণ বা রূপা গলানোর কাজ করা হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ব্যবসাযীদের স্বর্ণ মজুদ থাকে এই কারখানায় । তবে চুরির ঘটনাকালে কোন স্বর্ণ ছিলো না ।
আর এই সখিনা মঞ্জিল থেকে পুরো স্বর্ণপট্টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা দিয়ে নিয়ন্ত্রিত থাকলেও রহস্যজনক কারণে এই মার্কেটের পিছনে কোন ক্যামেরা স্থাপন করে নাই । অথচ সখিনা মঞ্জিলের পিছনেই দীর্ঘদিন যাবৎ মাদকের বিশাল আস্তানা রয়েছে । যার কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় নাই । এর আগেও সখিনা মঞ্জিলের মালিক রহমত উল্লাহ ফারুকের মার্কেটের ভিতরে মাদক ব্যবসাযীদের বেচাকেনার খবরে ডিবি পুলিশ তার দারোয়ানকে আটক করলেও ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় তা ধরা পরে নাই । এছাড়াও অন্যান্য চুরির ঘটনা রহস্যজনক কারণে ফারুকের নিয়ন্ত্রিত ক্যামেরার বাইরে থাকে বলে জানায় ব্যবসায়ীরা ।
Discussion about this post