নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জে স্কুলছাত্র আরফাত হত্যা মামলায় সাতজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামীকে পাঁচ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের দুই নং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শেখ রাজিয়া সুলতানা এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আদালতে তিনজন আসামী উপস্থিত ছিলেন। অন্য আসামীরা পলাতক রয়েছেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন- সজীব, দেলোয়ার, রুবেল, ইউসুফ, রফিক, জয় ও শামীম। এই মামলায় রাজু ও শফিক নামে দুই আসামীকে আদালত খালাস দিয়েছে ।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জানান, ২০১০ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে পাঁচটায় সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার আটি এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে দশম শ্রেণীর ছাত্র আরাফাতকে ক্রিকেট খেলার কথা বলে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায় আসামী ইউসুফ। এরপর থেকে আরাফাত নিখোঁজ থাকে। পরে স্থানীয়রা দেখতে পান গভীর রাতে উল্লেখিত আসামীরা আরফাতকে একটি নৌকায় তুলে নিয়ে তার সারা শরীরে ব্লেড দিয়ে খুঁচিয়ে জখম করে। ঘটনার পরদিন দুপুরে ওই এলাকার একটি পরিত্যক্ত স্থান থেকে পুলিশ আরাফাতের লাশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় নিহত আরাফাতের বাবা আনোয়ার হোসেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় বাদি হয়ে নয়জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে এই মামলায় আসামী সজীব, দেলোয়ার ও রুবেল হত্যাকাণ্ডের দোষ স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
আরাফাতকে অপহরণ থেকে শুরু করে হত্যাকাণ্ডের বর্ণনাও দেয় তারা। আদালত এই মামলায় ২৫ জন স্বাক্ষীর মধ্যে ১৪ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে এ রায় দেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর জাসমীন আহমেদ।
Discussion about this post