নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
সোনারগাঁয়ে মসজিদের ঈমাম দিদারুল ইসলামকে গলা কেটে হত্যাকান্ডের পর মামলাটি ক্লুলেস থাকলেও এর কারণ মাত্র ৬ দিনের মধ্যেই উদঘাটন করেছে পুলিশ । মূলত আর্থিক লেনদেনের বিরোধ ও টাকা ফেরৎ দিতে না পারায় মা কে নিয়ে বাজে মন্তব্য করার ক্ষোভ থেকেই এমন নৃশংস হত্যা করেছে ঘনিষ্ট বন্ধুরূপী খুনী ঈমাম ওহিদুর জামান (৩০) ।
ক্লুলেজ এমন হত্যাকান্ডের ঘটনা ধরা যাতে না পরে খুনি ঈমাম একটি পত্র লিখে যায় ওহিদুর জামান । এই পত্রে ওহিদুর জামান নির্মম হত্যাকান্ডের পর বিষয়টি হিজবুল তাওহিদ ঘটিয়েছে বলে উল্লেখ করে লাশের পাশে পত্রটি রেখে যায় । যাতে প্রশাসন ও এলাকার লোকজন জঙ্গি ভেবে মূল হত্যাকারীর খোজ না করে । এমন ঘটনার পরও ধরা পরে ঈমাম হত্যার মূল খুনি ওহিদুর জামান ।
২৮ আগস্ট বুধবার ভোরে তাকে মাদারিপুরের শিবচর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে সোনারগাঁ থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) আজাদ ও পুলিশের একটি দল।
এমন ক্লুলেজ খুনের ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ ২৮ আগষ্ট বুধবার বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, সোনারগাঁয়ের মোগড়াপাড়া এরাকার মল্লিকপাড়ার বাইতুল জালাল জামে মসজিদের ইমাম দিদারুল ইসলামকে হত্যাকারী ঘাতক ওহিদুর জামান গ্রেফতারের পর নিজেই স্বীকার করেকেন িএবং কি কারণে এমন নির্মম হত্যাকান্ড সে করেছে ।
এর আগে ২২ আগস্ট ইমাম দিদারুল ইসলামকে দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে হত্যা করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত ওহিদুর জামান খুলনা নড়াইল কালিয়া কলাবাড়ি এলাকার আব্দুর রাজ্জাক টুকু শেখের ছেলে। এছাড়া সে ওমাদারীপুর শিবচর এলাকার একটি মসজিদের ইমাম। তাকে ভোরে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা থেকে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে গ্রেফতার করা হয়। এসময় উদ্ধার করা হয় হত্যাকাণ্ডের সময় ব্যবহৃত চাপাতি, বক্তমাখা লুঙ্গি ।
পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ জানান, সোনার বার কিনে ব্যবসা করার জন্য দিদারুল নিজেই ওহিদুর জামানকে ব্যবসার বিনিয়োগের জন্য কয়েক দফায় লক্ষাধিক টাকা দিয়েছিল। এ টাকা ফেরত চাওয়ায় দুই ঈমামের মধ্যে তুমুল কথাকাটাকাটিও হয় । দিদারুল এক পর্যায়ে নহ্ন ভাষায় গালিগারাজ করে । এমন গালিগালাজের প্রতিশোধ নিতে পরিকল্পনা করে চেতনানাশক ওষুধ কোকের সঙ্গে মিলিয়ে খাইয়ে অচেতন করে তাকে চাপাতি দিয়ে গলাকেটে হত্যা করা হয়।
হত্যাকান্ডের পর ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে জঙ্গি নাটক সাজাতে একটি চিঠি লিখে রেখে যায় । এমন ক্লুলেছ খুনের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে সন্ধিহান ছিলাম এতো দ্রুত সময়ে খুনি গ্রেফতার করা যাবে কি না ।
হত্যাকাণ্ডের পর জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে ক্লু-লেস এ মামলায় তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে আসামিকে শনাক্ত করে তাকে গ্রেফতার করে সোনারগাঁ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আজাদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌকশ দল ।
Discussion about this post