ঘুষ নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল হওয়া সেই বন্দর সাব-রেজিস্ট্রার এছহাক আলী মন্ডল ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের নির্দেশ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, সম্পদের তথ্য গোপন করায় তাদের বিরুদ্ধে এই মামলা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(১) এবং ২৭(১) ধারাসহ দ-বিধির ১০৯ ধারায় এছহাক আলী মন্ডল ও তার স্ত্রী শাহিনুর বেগমের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের অনুমতি দেয় দুদক।
দুদক সূত্রমতে, বন্দর সাব-রেজিস্ট্রার এছহাক আলী মন্ডলের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১৮ সালে দুদকের অনুসন্ধান শুরু হয়েছিল। আড়াই বছর অনুসন্ধান শেষে এছহাক আলী মন্ডল ও তার স্ত্রী শাহিনুর বেগমের নামে যেসব অবৈধ সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে, তা দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জন করেছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণ মিলেছে।
এই মামলার তদন্তের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক আশীষ কুমার কুন্ডুকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, নারায়ণগঞ্জের বন্দর সাব-রেজিস্ট্রার এছহাক আলী মন্ডল অতিরিক্ত দায়িত্বে আড়াইহাজারেরও সাব-রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আড়াইহাজারে অফিস করার সময় ঘুষ নেওয়ার একটি ভিডিও ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে ২০১৮ সালের ২৫ মার্চ নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক খান মো. আব্দুল মান্নান স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাকে বরখাস্ত করা হয়। কিন্তু এক বছরেরও বেশি সময় পর এ ঘটনার কোনো প্রমাণ খুঁজে না পাওয়ায় বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনে এছহাক আলী মন্ডলকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয় কমিটি।
যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত এছহাক আলী মন্ডল সাংবাদিকদের বলেন, ‘যা বলার ডিপার্টমেন্ট বলতে পারবে। আমি আমার বাবাকে নিয়ে হাসপাতালে আছি। পরে কথা বলবো।’ যদিও পরে তিনি আর কল রিসিভ করেননি।
Discussion about this post