জব্দ করা ১২৫০ কেজি সেমাই কি বিক্রি শুরু করেছে সুগন্ধা ? ঈদকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জবাসীর সাথে এ কোন তামাশায় মেতে উঠেছে ? মানহীন এই লাচ্ছা সেমাই বাজারে বিক্রির পূর্বে ভোক্তা সাধারণকে কি জানানোর প্রয়োজন ছিলো না ? যদি বিক্রি না করে থাকে তবে জব্দ করা বিশাল এই মানহীন সেমাইগুলি কোথায় ? – এমন অসংখ্য প্রশ্ন উঠেছে নগরজুড়ে
জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ শহরের গলাচিপা এলাকায় অবস্থিত সুগন্ধা বেকারিকে খাদ্যে ভেজাল, নিম্নমানের কেমিকেল মিশ্রণসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে চার লাখ টাকা জরিমানা ও ১২৫০কেজি মেয়াদোত্তীর্ণ সেমাই জব্দ করেছিলো এনএসআই ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জ।
১৪ জুলাই মঙ্গলবার বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এনএসআই সদস্যরা ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বেকারিতে অভিযান চালায়।
অভিযান পরিচালনাকালে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জের উপ-পরিচালক সেলিমুজ্জামান। এনএসআইয়ের সদস্য ও সদর উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর শাহজাহান হাওলাদার প্রমুখ।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জের উপ-পরিচালক সেলিমুজ্জামান জানান, খাদ্য সামগ্রীর তৈরির তারিখ নিয়ে মারাত্মক জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়া যায়, একই সাথে পণ্যের মোড়ক ব্যবহার না করা, খাদ্যে নিষিদ্ধ দ্রব্য মিশ্রণ, সঠিক সময়ে বিক্রয় না করাসহ নানা অনিয়মে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর পাঁচটি ধারায় চার লাখ টাকা জরিমানা ও ১২৫০কেজি মেয়াদোত্তীর্ণ সেমাই জব্দ করা হয়। জব্দকৃত সকল সেমাই সুগন্ধ্যা বেকারীতে সংরক্ষণ করতে নির্দেশনা দেয় অভিযানকারী দল ।
নারায়ণগঞ্জবাসীর সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ খাদ্য নিয়ে এমন প্রতারণা করে আসছিলো সুগন্ধা। উচ্চমূল্য নিয়ে খাবারের মান খুব ভালো বলে নানাভাবে প্রচার করার পাশাপাশি অনেক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের নিয়মিত মাসোহারা ও বিনামূল্যে খাবার সরবরাহ করায় অনেক সংস্থা ই সুগন্ধা বেকার, সুগন্ধা প্লাস, সুইট, সুগন্ধা কেক হাউজের বিরুদ্ধে নিয়মিত কোন ব্যবস্থা নিতো না । এরপরও আজ মংগলবার ১৪ জুলাই দুপুরে শহরের গলাচিপা এলাকার সুগন্ধার কারখানায় অভিযান চালিয়ে দেখা যায় লোমহর্ষক ভয়ংকর চিত্র ।
এমন অভিযানের খবরে শহরবাসী সাধুবাদ জানালেও জব্দ করা ভেজাল খাদ্য সামগ্রী সুগন্ধা কর্তৃপক্ষের কাছে জিম্মায় রাখার ঘটনায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে ।
সুগন্ধা বেকারীর কারখানায় অভিয়ান চালিয়ে জব্দ করা বিশাল মানহীন সেমাই বর্তমানে কি অবস্থায় রয়েছে তা নিয়ে নগরবাসীর মাঝে দেখা দিয়েছে নানা শংকা ।
অনেকেই বলেছেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের অনেক সংস্থা অসংখ্যবার অভিযান চালিয়ে জরিমানা আদায় করেছে । এরপরেও অনেক কর্মকর্তাদের সাথে সুগন্ধা’র অসাধু চক্রের সাথে গোপন সখ্যতা বজায় রাখতে দেখা গেছে । তাই ঈদকে সামনে রেখে জব্দ করা সেমাই বাজারে বিক্রির পায়তারা করছে সুগন্ধা কর্তৃপক্ষ। কারণ কোন কর্তাকে কি দিয়ে তুষ্ট করতে হয় তা খুব ভালো করে জানে সুগন্ধার প্রতারকচক্র ।
Discussion about this post