এমন চোরাই কর্মকান্ড দীর্ঘদিন যাবৎ পরিচালিত হলেও আইনশৃংখলা বাহিনীর অনেক কর্মকর্তা, সদস্য, সাংবাদিক নামধারী নেতা চেরা চেমুন্ডা, রাজনীতিবিদদের অনেকেই নিয়মিত এমন চোরাই কারবারের ভাগবাটোয়ারা আদায় করার কারণে এমন অপরাধীদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতেও সাহস করে না ।
সিদ্ধিরগঞ্জে চোরাই তেলের মূল হোতা একজন কাউন্সিলরের নেতৃত্বে বাচ্চু ও তার পুত্র আশরাফ প্রতিরাতেই ৩ থেকে ৫ হাজার লিটার শীতলক্ষা নদীর তেলবাহী জাহাজের তেল চুরি করলেও কেউ টু শব্দটিও করার সাহস করে না ।
এমন ১০ হাজার লিটার চোরাই তেলসহ সাংবাদিক সংস্থার কথিত সভাপতি হান্নান প্রধানের আস্তানায় র্যাব অভিযান চালানোর ঘটনায় সাধুবাদ জানিয়েছে অনেকেই । এমন অভিযান সকল চোরাই কারবারীদের বিরুদ্ধে পরিচালিত করার জন্যও আবেদন করেছেন এলাকাবাসী
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার কথিত সভাপতির চোরাই তেলের গোডাউন থেকে ১০ হাজার লিটার জ্বালানী তেলসহ জাহাঙ্গীর আলম (২৮) নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
রবিবার (১০ জানুয়ারি) রাত ১১টায় নাসিক সিদ্ধিরগঞ্জের ৪নং ওয়ার্ডের আটি ছাপাখানা এলাকায় ফার্নিশ তেলের হাউজে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে চোরাই কাজে ব্যবহৃত ১টি তেলের ট্যাংকার ট্রাক জব্দ করে র্যাব-১১ এর সদস্যরা।
জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার শাখার কথিত সভাপতির নাম আব্দুল হান্নান প্রধান। তার বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা, মাদক, বিস্ফোরক দ্রব্যসহ ১১টি মামলা রয়েছে।
সোমবার (১১জানুয়ারি) র্যাব-১১`র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসীমউদ্দিন (পিপিএম) চৌধুরীর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে তিনি জানান, সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল এলাকায় অবস্থিত পদ্মা ও মেঘনা ডিপো কেন্দ্রিক বেশ কয়েকটি চোরাই তেলের সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। পলাতক আসামি হান্নান প্রধানের প্রত্যক্ষ মদদে উক্ত ডিপো হতে অবৈধ উপায়ে তেল সংগ্রহ করে মাটির নিচে ৫০ থেকে ৬০ হাজার লিটার ধারণ ক্ষমতার তেলের হাউজ তৈরি করে চোরাই ফার্নিশ তেল গোডাউনে মজুদ করা হয়। সেই তেল রাতের আঁধারে তেলের ট্যাংকলরীতে করে নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ ও বিক্রয় করে আসছিলো তারা। গ্রেফতারকৃত আসামি ও পলাতক আসামির পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন কৌশলে অবৈধ উপায়ে জ্বালানী তেল সংগ্রহ এবং মজুদ করে অবৈধভাবে কেনাবেচা করে আসছে বলেও জানান তিনি।
জসিমউদ্দীন চৌধুরী আরো জানান, পলাতক আসামি হান্নান প্রধান (৩৮) এর বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় বিভিন্ন অপরাধ সংঘটনের দায়ে ১১টি মামলা চলমান রয়েছে। এ ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলার প্রস্তুুতি চলছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসীমউদ্দিন চৌধুরী।
Discussion about this post