নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপেডট :
পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ ঘোষনা করেছেন একজন সাংবাদিক নারায়ণগঞ্জের জুয়ার আসর চালাতেন । তার প্রমাণ হাতে এসেছে । ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে অপরাধের হোতা এই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে । এমন বক্তব্য বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশের পর শহরের সর্বত্রই সমালোচনার ঝড় উঠেছে । আর গণমাধ্যমকর্মীদের দেখলেই প্রশ্ন ছড়ে দিচ্ছেন কে এই সাংবাদিক ? নাকি সাংবাদিকদের নামধারী নেতা কেউ ?
পুরানো গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের রেশ টেনে অনেকেই সমালোচনা করে আরো বলেছেন নোরায়ণগঞ্জের গুটি কয়েক পত্রিকার প্রকাশক/ সম্পাদক ও নামধারীরা সংবাদপত্রের ব্যানার নিয়ে এই জুয়া চালাতো। প্রকাশ জুয়া ছাড়াও মাদকে ব্যবসা, চোরাকারবারী, নারী কেলেংকারীর টাকায় কেউ কেউ শহরে ফ্ল্যাটও কিনেছেন । যার বাপ দাদার কোন অস্তিত্ব না থাকলেও বীরের বেশে অপরাধী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছিলো নামধারী এই সাংবাদিকরা এখন কোথায় গেলো ? কাথিত সাংবাদিকদের এমন জুয়ার আসর চালাতে গিয়ে অনেকেই মারধর ও হুমকির শিকারও হয়েছে ।
জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ সাংবাদিকদের দ্বারা পরিচালিত শাহজাহান ও ইয়ার্ণ মাচেন্টের জুয়া গুড়িয়ে দেয়ার পর অনেকেই নাকি নাকে খত দিয়ে এসেছেন পুলিশ সুপারের কাছে । এরা এখন কোথায় ? এমন হাজারো প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে সংবাদকর্মীদের । এমন মন্তব্য করার পর জুয়া পরিচালনাকারী কয়েকজন সাংবাদিকদের পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অবস্থানের ছবিও দেখা গেছে অনেকের কাছে ।
জানা যায়, শহরের একটি চিহ্নিত চক্র গত ৫/৭ বছর যাবৎ শহরের কালীরবাজারের একটি পত্রিকা অফিসে জুয়ার আসর চালিয়ে যাচ্ছিলো । দীর্ঘদিন পত্রিকা অফিসে জুয়া পরিচালানার পাশাপাশি আরো কয়েকটি আস্তানা গড়ে তুলে সাংবাদিক নামধারী অপরাধী চক্র। প্রতিদিন জুয়ার আসর থেকে ম্যানেজার শাহজাহান নামধারী কয়েকজন পত্রিকা পরিচালনাকারীদের ৯ হাজার/ ৫ হাজার /৩ হাজার টাকা ভিত্তিতে প্রদান করে আসতো । শাহজাহান অকপটেই স্বীকার করে এই জুয়া কারা কারা পরিচালনা করে । কারা এই জুয়া থেকে ভাগভাটোয়ার নেয় ।
এমন জুয়ার আসর গুড়িয়ে দেয়ার পর পুলিশ সুপার হারুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে সকল ধরণের অপরাধীদের বিরুদ্ধে । এমন চ্যালেঞ্জের পর নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিবিদদের জড়িয়ে ফেলছে স্বার্থান্বেষী মহল ।
শুক্রবার সকাল থেকেই বিভিন্ন আলোচনায় উঠে এসেছে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতি ও পুলিশ সুপারের অপরাধীদের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষনার খবর ।
Discussion about this post