একদিকে ঘুষের বিনিময়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার পাঁচটি উপজেলায় প্রায় সাড়ে ৩ শত অবেধ ইটভাটা বিরামহীনভাবে ইট পোড়ানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছে । উচ্চ আদালতের আদেশের পরও জেলা প্রশাসনের অসাধু কর্মকর্তাগণ, জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর/ ভ্যাট/ কর বিভাগের কয়েকজন অসাধু কর্মকর্তাসহ অন্যান্য আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের নিয়মিত মাসোয়ারা দিয়ে অবৈধভাবে এমন ইটভাটা পরিচালনা করছে পুরো চক্র । একই সাথে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও শাসকদলের নেতাদের নাানভাবে উপঠৌকন পাঠিয়ে ম্যানেজ করে উচ্চ আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চলছে ইটভাটা । প্রতিটি ইটভাটা থেকে নিম্নে ৫ লাখ টাকা করে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে জেলাজুড়ে । এরপর এবার এই অভিযানকে লোক দেখানো এবং আদালতকে দেখানোর জন্য এমন অভিযান চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করছে এলাকার অভিজ্ঞ মহল
বিশেষ প্রতিনিধি :
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে পরিবেশ অধিদপ্তরের অমুমোদনবিহীন তিনটি ইটভাটাকে ত্রিশ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত । একই সাথে দুইটি ইটভাটা ভেঙ্গে উৎপাদনসহ সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ।
পরিবেশ অধিদপ্তরের ঢাকা এনফোর্সমেন্ট বিভাগের নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট মাকছুদুল ইসলামের নের্তৃত্বে বুধবার দুপুর বারোটা থেকে বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত উপজেলার দাসেরগাঁও ও লক্ষণখোলা এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।
র্যাব, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও আনসার বাহিনী ভ্রাম্যমান আদালতের এ অভিযানে সহায়তা করে।
অর্থদন্ডপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- দাসেরগাঁও এলাকার মা-বাবা ব্রিক ফিল্ড, একই এলাকার ভাই ভাই ব্রিক ফিল্ড ও লক্ষণখোলা এলাকার হোম ব্রিকস।
পরিবেশ অধিদপ্তরের ঢাকা এনফোর্সমেন্ট বিভাগের নির্বাহি ম্যাজিষ্টেট জানান মাকছুদুল ইসলাম জানান, বিধিনিষেধ অমান্য করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই অবৈধভাবে পরিচালিত মা-বা ব্রিক ফিল্ডকে গত বছরের ৪ ডিসেম্বর তিন লক্ষ টাকা জরিমানাসহ ভেঙ্গে দেয় ভ্রাম্যমান আদালত। তারপরেও নির্দেশ ভঙ্গ করে পুনরায় অবৈধভাবে পরিচালনার অপরাধে এই প্রতিষ্ঠানকে বিশ লক্ষ টাকা জরিমানাসহ ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে। এর পাশ্ববর্তী প্রতিষ্ঠান ভাই ভাই ব্রিকসকে অবৈধভাবে মাটি ব্যবহারের অভিযোগে পাঁচ লক্ষ টাকা এবং লক্ষণখোলায় সিটি করপোরেশন এলাকায় নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ছাড়পত্রবিহীন পরিচালিত ইটভাটা হোম ব্রিকসকে পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানাসহ ভেঙ্গে বন্ধ করে দেয়া হয় সকল কার্যক্রম।
নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট আরো জানান, পরিবেশ দূষণ রোধে উচ্চ আদালতের নির্দেনা অনুযায়ী সারাদেশেই ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। কোথাও কোন অবৈধ ইটভাটা পরিচালনা করতে দেয়া হবে না।
পরিবেশ অধিদপ্তরের জেলা উপ-পরিচালক মো: সাঈদ আনোয়ার জানান, উচ্চ আদালতের নির্দেশে নারায়ণগঞ্জে অবৈধ হিসেবে চিহ্নিত করা ৭০টি ইটভাটাতেই এ পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। উচ্চ আদলতের স্থগিতাদেশের কারণে আরো ৭টি অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভযান চালানো সম্ভব হচ্ছে না। তবে পর্যাক্রমে সকল অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করে দেয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় বৈধ-অবৈধ সাড়ে তিনশ’ ইটভাটা রয়েছে।
Discussion about this post