নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জ উপজেলার পূর্বাচলে ডিপো নির্মানে জমি অধিগ্রহণ করতে জেলা প্রশাসনের ভুমি অধিগ্রহণ শাখার নোটিশ বাস্তবসম্মত নয় বলে দাবি করেছেন স্থানীয় ভূমির মালিকরা।
ভূমির মালিকদের অভিযোগ, প্রকল্পটির জন্য মৌজামুলে ভূমির যে মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে তা বাস্তবতা বিবর্জিত। আশেপাশের এলাকাগুলোতে সরকার নির্ধারিত দর থেকে দশগুন বেশি দামে জমি বেচাকেনা হলেও অধিগ্রহণকৃত জমির মালিকদের সঠিক মূল্য দেয়া হচ্ছে না। জেলা প্রশাসনের ভুমি অধিগ্রহণ শাখা নানা ছলচাতুরির আশ্রয় নিয়ে ভূমির মালিকদের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত করে নামমাত্র মুল্য প্রদান করে জমি থেকে উচ্ছেদের চেষ্টা করছে বলে তাদের অভিযোগ।
রবিবার দুপুরে উপজেলার সদর ইউনিয়নের পিতলগঞ্জ চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকায় সংবাদ সম্মেলন করে এই দাবি জানিয়ে জমির ন্যায্য মুল্য নির্ধারণ করতে প্রধামন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন ক্ষতিগ্রস্থ ভূমির মালিকগণ।
জেলা প্রশাসনের ভুমি অধিগ্রহণ শাখার নোটিশের বিষয়টি তুলে ধরে বক্তারা বলেন, মেট্টো রেলের এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য কাগজে কলমে স্থান নির্ধারণ করে মেট্টো রেল বিভাগ ইতিমধ্যে নকশাও চুড়ান্ত করেছে। এটি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় পূর্বাচলের ৪ নম্বর সেক্টর সংলগ্ন রূপগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণখালী ও পিতলগঞ্জ মৌজার প্রায় ৯৬ একর ফসলি জমি, বসতভিটাসহ বিভিন্ন সামাজিক, ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সহশ্রাধিক জমি পছন্দ করেছেন তারা। তবে শুরুতে জমির মালিকদের সঙ্গে অধিগ্রহণ মূল্য ও সীমানা সংক্রান্ত বিষয়ে দফায় দফায় সভা সমাবেশ করা হলেও মূল্য নিয়ে কোন প্রকার সমঝোতা হয়নি বলে তাদের অভিযোগ। জমির মালিকরা তাদের পৈর্তৃক ভূমি রক্ষায় কঠোর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারিও দেন।
কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু হোসেন ভুঁইয়া রানুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় জমির মালিকরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হারেজ, পিতলগঞ্জ দাখিল মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি ওবাইদুল মজিদ জুয়েল মাস্টার ও মাদ্রাসা সুপার মাওলানা সালাহউদ্দিন ভুঁইয়া ।
Discussion about this post