নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেছেন, রাজাকার সন্তানরা আজ বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। তারা এখন আমাদের মত নেতাদের পৃষ্ঠপোষকতায় চেয়ারম্যান মেম্বার নির্বাচিত হয়। তাই বলতে চাই, যারা রাজাকারের সন্তানদের প্রশ্রয় ও পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছেন তারা পরিবর্তন হওয়ার চেষ্টা করুন।
বুধবার (১৭ মার্চ) দুপুরে শহরের দেওভোগে অবস্থিত মর্গ্যান গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর আলোচনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে সকলকে সাথে নিয়ে বিশাল আকারের কেক কাটেন স্কুলটির গভর্নিংবডির সভাপতি আনোয়ার হোসেন।
তিনি বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু যখন বাকশাল গঠন করলেন তখন সবাই বাকশাল হয়ে গেল। আবার বাংলাদেশের সবাই এখন আওয়ামী লীগ। একজন কাউকে মুক্তিযোদ্ধা বললে আরেকজন রাজাকার বলে, আরেকজনরে রাজাকার বললে আরেকজন মুক্তিযোদ্ধা বলে। রাজনীতিতে এখন এই অবস্থা চলছে। স্বাধীন বাংলাদেশে রাজাকারের সন্তান সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়। রাজাকারের সন্তানরা ইউপি মেম্বার, ইউপি চেয়ারম্যান হয়ে যাচ্ছে। এদের যারা প্রশয় দিচ্ছেন, পৃষ্ঠপোষকতা করছেন তারা পরিবর্তন হয়ে যান।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বঙ্গবন্ধু কখনও আপোস করেন নাই। তিনি লড়াই করতে শিখিয়েছেন। লড়াই করে বাঁচতে হবে। আমরা লড়াই করে এই পর্যন্ত এসেছি। ৫০ বছর রাজনীতি করেছি মানুষের অন্যায়, অত্যাচারের বিরুদ্ধে। আপোস করি নাই, প্রতিবাদ করেছি, লড়াই করেছি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট আমরাই মিছিল করেছিলাম, প্রতিবাদ করেছিলাম। আজকে অনেকেই বলে, ৭৫র পরে আমরা অনেক কিছু করেছিলাম। কোথায় ছিলেন তারা? তারা তো সে সময় শিশু ছিল। আমরা তখন রাজপথে ছিলাম। আমরা রাজপথে থেকে আনন্দোলন করেছি, সংগ্রাম করেছি, বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করেছি, পুলিশের দৌড়ানি খেয়েছি, জেল খেটেছি।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে বিশ্বাস করতেন। তিনি চাটুকারদের বিরুদ্ধে কথা বলেছিলেন বলেই তাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল। পৃথিবীর নৃশংশতম হত্যাকান্ড ছিল এটি। হত্যার পরও বঙ্গবন্ধুকে নিশ্চিহ্ন করতে পারেনি। কারণ বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশ। তিনি মানুষকে ভালোবাসতেন বলেই জাতির পিতা হতে পেরেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করতে পারলেই আওয়ামী লীগের ভোট সংখ্যা বাড়বে।
মর্গ্যান গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যানের সহধর্মিনী সুলতানা রাজিয়া, স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক লায়লা আক্তার, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আহসান হাবীব, সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম আরাফাত, স্কুলের অভিভাবক সদস্য মোশারফ হোসেন জনি, উল্লাস সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক সেলিম হাসান দিনার প্রমুখ।
Discussion about this post