আদালত প্রাঙ্গণে ইমাম বন্ধু কর্তৃক ইমাম বন্ধু খুনের ঘটনায় আসামী মাওলানা মোঃ অহিদুজ্জামানের স্বীকারোক্তির পর অনেকেই পুলিশের প্রতি সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, পুলিশ এমন একটি ক্লুলেছ হত্যাকান্ডের ঘটনা মাত্র ৬ দিনের মধ্যেই আসামীকে আদালতে বিচারের জন্য ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করতে ব্যবস্থা করেছে । দারোগা আবুল কালাম আজাদ পুলিশের সুণাম বৃদ্ধিতে কাজ করেছে । এমনটাই পুলিশের কাজ । এ জন্য তাকে পুরস্কৃত করা উচিৎ
নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট
জেলার সোনারগাঁ উপজেলায় ইমাম দিদারুল ইসলামের ক্লুলেছ গলাকেটে নৃশংসভাবে ঘটনায় মেষ পর্যন্ত কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামী শানাক্ত ও গ্রেফতারের পর কোন রিমান্ডের আবেদন ছাড়াই আদালতে আসামী ঘাতক বন্ধু মাওলানা মোঃ অহিদুজ্জামান আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদানের সকল ব্যবস্থা হগ্রহণ করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ ।
২৯ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আফতাবুজ্জামান তার নিজ খাস কামড়ায় আসামী মাওলানা মোঃ অহিদুজ্জামান ১৬৪ ধারায় হত্যাকান্ডের সকল বর্নানা তুলে ধরে স্বীকার করে হত্যাকান্ডের সকল তথ্য ।
গত ২২ আগস্ট সোনারগাঁ মল্লিকপাড়া গ্রামের নারায়ণদিয়া বায়তুল জালাল জামে মসজিদের ইমাম দিদারুল ইসলামকে গলা কেটে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। নিহত দিদারুল খুলনার তেরখাদা থানার রাজাপুর এলাকার আফতাব ফরাজির ছেলে। এর আগে গত ২৬ জুলাই তিনি মল্লিকপাড়া গ্রামের ওই মসজিদটিতে ইমাম হিসেবে নিয়োগ পান।
হত্যাকান্ডের পর চাঞ্চল্যকর এ মামলার তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে একমাত্র আসামিকে শনাক্ত করে গত মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দিবাগত রাতে মাদারীপুরের শিবচর থানা এলাকায় থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এই হত্যাকান্ডের মূলহোতা ওহিদুর রহমান (৩১) খুলনার নড়াইলের কলাবাড়ীয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক (টুকু) শেখের ছেলে। ওহিদুর রহমান নিজেও মাদারীপুরের শিবচর এলাকার স্থানীয় একটি মসজিদে ইমামতি করতেন। নিহত দিদারুল ও আসামি ওহিদুরের মধ্যে ব্যবসায়ীক অর্থ নিয়ে লেনদেনের জের ধরেই এই হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে খুনি বন্ধু মাওঃ মোঃ অহিদুজ্জামান জানায়, ”আমার কাছে দিদারুল ৪০ হাজার টাকা পায় । আমি দিতে না পেরে সময় চাই । এতে ক্ষিপ্ত হয়ে দিদুরুল আমাকে ফোনে বলে টাকা দিতে না পারলে আমি যেন আমার মা ও বোনকে তার কাছে শুইতে দেই । এমন কথা শুনে আমি পরিকল্পনা করি দিদারুলকে তার টাকা তো দিবো ই না, তাকে হত্যা করবো । এই পরিকল্পনা থেকে পাচচর বাজার থেকে ৬০০ টাকায় চাপাতি কিনে মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জে আসি । মঙ্গলবার তাকে হত্যা করতে ব্যর্থ হয়ে ফিরে যাই । সারাদিন একটি হোটেলে থেকে রাতেে আবার মোগড়াপাড়ার এটুজেড ফামেসী থেকে ১০টি ঘুমের টেবলেট কিনে কোকের সাথে মিশিয়ে দিদারুল কে খেতে বলি । প্রথমে কোন না কেলেও পরে ঠিকই খেয়ে আধাঘন্টার মধ্যে ঘুমিয়ে পরলে আমি একটি চিরকুট লিখি । এরপর চাপাতি দিয়ে তিনটা কোপ দিতেই মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় । এরপর মোবাইলের সিমকার্ড, গোসল করার পর লুঙ্গি, চাপাতি পাশের জঙ্গরেল ও কচুরী পানার মধ্যে ফেলে দিয়ে প্রথমে ঢাকা ও পরে শিবচরে চলে যাই ।
Discussion about this post